বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ, তবুও এত লাফালাফি তৃণমূলের? উল্লাসে মাততেই খোঁচা বিরোধীদের!
প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
হাতে আর কয়েক মাস। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করা তাদের স্বভাব হয়ে গিয়েছে, ঠিক তেমনই একটি মাদ্রাসার নির্বাচনে ফের তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলো। আর সেই জয়ের পরেই তৃণমূল যেভাবে উল্লাসে মাততে শুরু করেছে, তাতে বিরোধীদের মধ্যেই প্রশ্ন যে, এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে কি লাভ তৃণমূলের? এত আনন্দেরই বা কারণ কি?
বস্তুত, এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্বাচনের তৃণমূল গায়ের জোরে বিরোধীরা যাতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারে, তার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করে বলেই অভিযোগ। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন নির্বাচনে তৃণমূলকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়লাভ করতে দেখা যায়। তবে তৃণমূলের এই অভ্যাস যে বঙ্গ রাজনীতির পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক, সেই দিক বারবার করে তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এতসবের মধ্যেও উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখা ব্লকের বামনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয়ানি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার নির্বাচনে ফের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলো তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কোনো মনোনয়নপত্র জমা না হওয়ায় তৃণমূলের ৬ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন বলেই জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ট মহল। তাদের দাবি, সামান্য একটি মাদ্রাসার নির্বাচন, তাও সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে কি করে এত উল্লাস দেখাচ্ছে তৃণমূল? আসলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে এভাবেই বিনষ্ট করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব জায়গায় ভয় দেখিয়ে যাতে বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারে, তার চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূলের এইভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়া তাদের ক্ষেত্রেই অশনি সংকেত। কেননা বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকে না। যার ফলে তৃণমূল আজকে তৃণমূলকে মারতে শুরু করেছে। আর সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে প্রত্যেকটি আসনে লড়াই হবে। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা অভ্যাস হয়ে যাওয়া তৃণমূলের কাছে সেই নির্বাচনে লড়াই করা সব থেকে বড় চাপের কারণ হবে এবং রাজ্য থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।