প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকালই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠে গিয়েছিল একদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আর একদিকে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। প্রথমে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ করে বসেন। সুকান্ত মজুমদারের ক্ষমতা থাকলে শ্রীরামপুরে এসে দেখাক বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর সাথে সাথেই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তিনি শ্রীরামপুর যাবেন বলে জানিয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার। অবশেষে আজ সেই শ্রীরামপুরে গিয়ে রীতিমত দাপিয়ে বেড়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তারপরেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন দেখা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল শ্রীরামপুরে এলে তাকে উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন, তাকে বিগত লোকসভা নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের একাধিক নেতা নেত্রীরা বালুরঘাটে গিয়ে পড়ে থাকলেও তাকে ওড়ানোর মতো ক্ষমতা হয়নি বলে জানিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। রীতিমত বাইক নিয়ে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন তিনি। আর তারপরেই প্রকাশ্য একটি সভা থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন দেখা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ফু দিয়ে ওড়ানোর কথা বলেছিলেন, তাকেও জবাব দেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। বুঝিয়ে দেন, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেও সুকান্ত মজুমদারকে পরাজিত করতে পারেননি বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সুকান্ত মজুমদারকে ফু দিয়ে ওড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো চারবার গিয়েছিলেন। চারটি বিধানসভায় চারটি সভা করেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুটো বিধানসভায় দুটো সভা করেছিলেন। বাবুল সুপ্রিয়, দেব, বীরবাহা হাসদা, ব্রাত্য বসু নিজে সাত দিন বসেছিলেন। আরও অনেকে। তাদের নাম আমি নিচ্ছি না। তারা নাম নেওয়ার পর্যায়ে পড়ে না। এত জন মিলে চেষ্টা করার পরেও সুকান্ত মজুমদারকে কিন্তু ফু দিয়ে ওড়ানো যায়নি। ফু দিতে দিতে ওনাদের গলা শুকিয়ে গিয়েছে। আমার বিশ্বাস, আগামী দিনেও এটা চালু থাকবে। এখন উনি রনে ভঙ্গ দিচ্ছেন। আমরাও তো দেখতে চাই, কত দম আছে। ফাঁকা কলসি বাজে বেশি।”