প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন ১০০ দিনের কাজে যে এই রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে এবং সেই দুর্নীতির কারণেই যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে, সেই বিষয়টি বারবার করে তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতারা। তবে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে বহাল রেখে সে সুপ্রিম কোর্ট আর তার ফলেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে যেড় বিজেপি বাংলাকে যেভাবে বঞ্চিত করেছে, তার জবাব দিয়েছে আদালত। এবার বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতেই হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তবে তৃণমূল আদালতের এই নির্দেশকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বা বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা বললেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এবার আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে পাল্টা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
গতকালই সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ সামনে আসে। আর সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের ছোট, বড়, মাঝারি বিভিন্ন নেতারা ফলাও করতে শুরু করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের পরাজয় হলো, ১০০ দিনের কাজের টাকা এতদিন বাংলার জন্য বন্ধ করে রাখলেও, এবার আদালতের এই নির্দেশে সেই টাকা দিতে হবে কেন্দ্রকে। তবে আদালতের পুরো নির্দেশ না বলে শুধুমাত্র একটি বিষয়কে সামনে এনে তৃণমূল যতই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করার চেষ্টা করুক না কেন, এবার তাদের হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। পাল্টা যুক্তি দিয়ে তিনিও বুঝিয়ে দিলেন, এই রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা আদালতের নির্দেশের ফলেই পরিষ্কার।
এদিন ১০০ দিনের কাজের বিষয়ে আদালতের নির্দেশ নিয়ে তৃণমূলের যে উল্লাস, সেই বিষয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বাংলা ভাষায় একটি কথা আছে, মূর্খের গোবধে আনন্দ। তৃণমূল কংগ্রেসেরও সেটাই হচ্ছে। এটা ঠিক, কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। হাইকোর্ট বলেছিল চালু করতে। কিন্তু তার সাথে সাথে হাইকোর্ট কি বলেছিল, সেটা কি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা দেখেছেন? কেন্দ্র টিম পাঠিয়েছিল চারটি জেলাতে। আর সেখানে দেখা গিয়েছে, ৬০০ কোটি টাকার বেশি অনিয়ম সামনে এসেছে। আর হাইকোর্টের নির্দেশেই হাইকোর্ট বলেছিল যে, আগস্ট মাস থেকে এই কাজের টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তার আগের কোনো বকেয়া টাকা তাদেরকে দিতে হবে না। এই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা-নেত্রীরা বলছেন, এত কোটি কোটি টাকা বাকি আছে, কিন্তু হাইকোর্ট সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে জানিয়েছিল যে, আগস্ট মাস থেকে টাকা দিতে হবে।”