প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিহারের পর সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ টি রাজ্যে এসআইআরের ঘোষণা করেছে ভারতবর্ষের জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কোনো রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মত এইভাবে এসআইআরের বিরোধিতা করে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে না। শুধু বিজেপি শাসিত রাজ্য নয়, অবিজেপি দলগুলো যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেও এসআইআরের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে তেমনভাবে বিরোধিতা না থাকলেও, কেন পশ্চিমবঙ্গেই এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এত বিরোধিতা করছে, কেন তারা রাস্তায় নামার পরিকল্পনা করেছে, আর কেনই বা তাদের নেতারা হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন? তবে সাপকে বাগে আনার জন্য যেমন কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া হয়, ঠিক তেমনই এসআইআর করে নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে দিয়েছে জন্যেই তৃণমূলের এত ছটফটানি বলেই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও একাধিক রাজ্যে এসআইআরের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাতেই এখানকার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআরের বিরুদ্ধে নানা কথা বলছেন। এমনকি একজন ভোটারের নাম বাদ গেলে তারা রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবেন বলেও হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। কোথাও কোথাও আবার বিজেপি নেতাদের শায়েস্তা করার নিদান দিতে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। বিজেপি বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যে রাজ্য ক্ষমতায় আছে, সেখানেও তো এসআইআর হয়েছে। সেখানে তারা কোনো চিৎকার চেঁচামেচি না করলেও, কেন তৃণমূল এত হম্বিতম্বি করছে এই এসআইআরের বিরুদ্ধে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, তৃণমূল এসআইআরের আতঙ্কে রয়েছে। তারা ভেবে নিয়েছে যে, এসআইআর হলে অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক ধ্বংস হয়ে যাবে। আর সেই কারণেই তাদের এই গাত্রদাহ বলেই দাবি বিজেপির। আর তার মাঝেই এবার আরও বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আতঙ্ক তো আছেই। আতঙ্ক না হলে ১২ টা রাজ্যে হচ্ছে। স্ট্যালিন সাহেবের রাজ্যেও হচ্ছে। শুধু বিজেপি শাসিত রাজ্য নয়, অবিজেপি রাজ্যগুলিতেও হচ্ছে। কোথাও হইচই নেই। কোথাও মিটিং নেই, মিছিল নেই। কোথাও গেল গেল রব নেই। একমাত্র এখানে বুঝতে পারছেন। গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিলে সাপ বেরোয়। নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে দিয়েছে। এখন সাপগুলো বের হচ্ছে।”