প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলে তাদের আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে যাদের সেই তালিকায় নাম নেই, তাদের ভবিষ্যৎ কি, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, এসআইআর হলে সব থেকে বেশি বিপদ হবে মুসলিমদের। আবার অনেকে বলছেন, হিন্দুদের অনেকেও ২০০২ সালে এপারে এসেছে, ফলে তারা বিপদে পড়তে পারেন। আর এসবের মধ্যেই বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারীদের নাম এসআইআরের মধ্যে দিয়ে বাদ গেলেও যে সমস্ত হিন্দুরা ২০০২ সালের পরে ওপার বাংলা থেকে এপারে এসেছেন, তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বলা বাহুল্য, এসআইআর হওয়ার পর থেকেই এখন বিভিন্ন মহলে একটাই চর্চা শুরু হয়েছে যে, কাদের নাম থাকবে এবং কাদের নাম বাদ যাবে। বিজেপির পক্ষ থেকে ক্রমাগত দাবি করা হচ্ছে, ভুয়ো ভোটার, মৃত ভোটার এবং অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে। তবে অনেকে আবার বলছেন, ২০০২ সালের পর তো অনেক হিন্দু ভোটারেরও নাম উঠেছে। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে! তাহলে কি এসআইআরে সেই সমস্ত হিন্দু ভোটারেরও নাম বাদ যাবে? তবে হিন্দুদের একেবারে সমস্যার সমাধানের পথ বাঁধলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরিষ্কার ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, ২০০২ সালের পরে যে সমস্ত হিন্দুরা এসেছেন, তাদের কোনো অসুবিধা হবে না।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হিন্দুদের আমরা আশ্বস্ত করছি সিএএ ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করুন। বিপুল সংখ্যক হিন্দু এসেছেন, ২০০২ সালের আগে। তাদের নাম ভোটার লিস্টে রয়েছে। আর আরও কিছু হিন্দু, ২০০২ সালের পরে এসেছেন। তাদের সিএএ ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের জন্য আছেন। নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইনে সিটিজেনশিপের ব্যাপারে পরিষ্কার বলা আছে। তারা দেবেন। সিএএতে যারা আবেদন করেছে, তাদের নাম উঠবে কিনা, এটা এমএইচএ ঠিক করে। এটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করে না। এটা নিয়ে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি তাদেরকে অনুরোধ করব যে, কারওর কথা শুনবেন না। যে কনফিউশনটা তৈরি করেছে তৃণমূলের ইকো সিস্টেম, এদেরকে বিশ্বাস করবেন না।”