প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য হওয়ার দিনেও সেখানে তাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বেড়েছে দিলীপ ঘোষের, এমনটাই মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর নতুন সভাপতির সংবর্ধনা সভাতেও তার অনুপস্থিতি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল, তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবন নিয়ে। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, তাহলে কি এবার দিলীপ ঘোষ ফুলবদল করতে চলেছেন? আর সেই প্রশ্নের উত্তরে নিজের মুখেই বড় কথা জানালেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
বলা বাহুল্য, বর্তমানে বিভিন্ন মহলে একটাই জল্পনা যে, দিলীপ ঘোষ কি করবেন? অনেকেই বলছেন, বিজেপির নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পরেও যখন তাকে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে না, সেভাবে দলের কোনো কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না, তার মানে তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাহলে তো সামনেই তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মত মেগা রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। তাহলে কি বিজেপিতে গুরুত্ব না পাওয়ার কারণেই দিলীপ ঘোষ দলবদল করবেন? একুশে জুলাই তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যাবে তাকে? আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জল্পনাকে আরও এক গুণ বাড়িয়ে দিলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।
এদিন এই ব্যাপারে দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে কুনাল, অরূপের অনেক আগে থেকে পরিচয়। এখনও আছে, আগামী দিনেও থাকবে। দিলীপ ঘোষ ওরকম ভাবে ভাবে না। কাল শত্রু ছিল, আজ বন্ধু হলো, আবার পরের দিন শত্রু হলো, দিলীপ ঘোষ ওই ভাবে ভাবে না। যারা ওরকম করে, তাদের সমস্যা আছে। দিলীপ ঘোষের এরকম কোনো সমস্যা নেই।” আর এখানেই প্রশ্ন, হঠাৎ করেই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিজের সখ্যতার কথা দিলীপ ঘোষ তুলে ধরছেন! তার মানে কি, যে জল্পনা চলছে, সেটাই সত্যি হতে চলেছে? তিনি কি তাহলে সত্যি সত্যিই যোগদান করছেন তৃণমূল কংগ্রেসে? আর সেই যোগদানের দিন কি ধার্য হয়ে গিয়েছে একুশে জুলাই? দিলীপ ঘোষ নিজের মুখে তেমন কিছু না বললেও জল্পনায় ফুটছে রাজ্য রাজনীতি।