প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে রাজ্যজুড়ে যে নেতাকে নিয়ে সব থেকে বেশি জল্পনা চলছে, তিনি হচ্ছেন, দিলীপ ঘোষ। দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের তার যাওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল যে, বিজেপির একজন দায়িত্বশীল নেতা হয়ে তিনি কি করে এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে চাপে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সেই জগন্নাথ মন্দিরে যেতে পারেন? যেখানে বিজেপির নেতারা দাবি করছেন যে, এটা মন্দির নয়, এটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সেখানে দিলীপ ঘোষের যাওয়াটা বিজেপি যে খুব একটা ভালো মত মেনে নিতে পারেনি, তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে দলের একাধিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে সদ্য দলের নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার দিনেও সেই মঞ্চে দিলীপ ঘোষকে দেখা যায়নি। পরবর্তীতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে, দিলীপ ঘোষকে কি তাহলে ফুলবদল করতে দেখা যাবে? এমনকি তাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাম্প্রতিককালে একাধিকবার জল্পনাকে জিইয়ে রেখে বলেছিলেন যে, ২১ তারিখ তো বড় একটা চমক আছে। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছিল যে, কি সেই চমক? তাহলে কি সত্যিই দল বদল করতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ? আর এসবের মধ্যেই আজ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
বলা বাহুল্য, দিলীপ ঘোষের বর্তমান সময়ে একাধিক মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, দিলীপ ঘোষ কি বিজেপির আরও ক্ষতি করে দিচ্ছেন না? এভাবে এই ধরনের মন্তব্য করে তিনি কি তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধে করে দিতে চাইছেন? আর এসবের মধ্যেই এবার নয়া বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সল্টলেকে দলের কার্যালয়ে পৌঁছে গেলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপরেই প্রশ্ন যে, তাহলে কি দিলীপ ঘোষের চমক, যেটা তিনি ২১ জুলাই দেবেন বলেছিলেন, সেটাই কি এই চমক? কেননা শশমীক ভট্টাচার্য নয় রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর দিলীপ ঘোষকে নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন যে, দিলীপ ঘোষ কোথাও যাবেন না, কোথাও যেতে পারবেন না। আর তারপরেই সেই নয়া রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দিলীপবাবুর এই সাক্ষাৎ বঙ্গ বিজেপিতে তার গুরুত্ব বাড়াতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ।
অনেকে আবার বলছেন, দিলীপ ঘোষ এই কয়দিন নিজের কদর বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দেখছিলেন যে, তাকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না, তিনি কোনোভাবেই গুরুত্ব পাচ্ছেন না, তাই বিভিন্ন মন্তব্য করে তিনি ভেসে থাকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এই সমস্ত মন্তব্য করে তিনি যে তার দল বিজেপিরই ক্ষতি করছে, এটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছিল। তাই দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে দিলীপ ঘোষ যাওয়ার পর থেকেই তার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে দেখা গিয়েছিল বঙ্গ বিজেপিকে। সম্প্রতি সেই দিলীপ ঘোষের দলবদল নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হতেই শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তার এই সাক্ষাৎ আগামী দিনে কোন বার্তা বহন করে আনে, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।