প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও আক্রমনাত্মক হয়ে উঠছেন। বিজেপির দাবি, তিনি বুঝতে পারছেন, ভোটার তালিকায় সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হলে তার দল ক্ষমতায় থাকবে না। রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ গেলে তৃণমূলের এই রাজ্য থেকে বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিজেপিকে ছেড়ে নির্বাচন কমিশনকেও আক্রমণ করতে দুবার ভাবছেন না।য়আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেই দক্ষিণ কলকাতায় কন্যা সুরক্ষা যাত্রা শেষে ভবানীপুরে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দর্প চূর্ণ করার হুংকার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন শুভেন্দুবাবু জানিয়ে আসছিলেন যে, ২০২৬ এ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করবেন। যেভাবে তিনি নন্দীগ্রামে ২০২১ এ তাকে হারিয়েছেন। আর আজ সেই ব্যাপারে আরও বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বলা বাহুল্য, এদিন দক্ষিণ কলকাতায় কন্যা সুরক্ষা যাত্রায় অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সাম্প্রতিককালে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছেন এবং যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি শুভেন্দুবাবু বলেন, “বিসর্জন হবেই। নিশ্চিত থাকুন। আমাকে লাগবে না। ভবানীপুরে আপনাকে বিজেপির ওয়ার্ড সভাপতিকে দিয়ে হারাব।” আর শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যের পরেই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে যে, তাহলে কি ভবানীপুরেও কি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করতে হয়, তার রোড ম্যাপ তৈরি করে ফেলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম নয়, নিজের খাসতালুকেও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি পরাজিত করে দিতে পারেন, তাহলে এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অপরাজেয় নন। বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বলছেন যে, তিনি না চাইলে তাকে কেউ হারাতে পারেন না। সেই বক্তব্যকে খন্ডন করেও শুভেন্দুবাবু বলেছেন যে, নন্দীগ্রামে আমার কাছেই হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভবানীপুরেও তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাকে পরাজিত করে দেখাবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই তিনি শুভেন্দুবাবুকে সহ্য করতে পারছেন না। যেভাবেই হোক, তাকে রাজনৈতিকভাবে জব্দ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তা না পেরে এখন নিজের দলের কর্মীদের দিয়ে শুভেন্দুবাবুকে হেনস্থা করার চক্রান্ত চলছে বলেই অভিযোগ বিজেপির। তবে শুভেন্দু অধিকারীও যে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তিনি যে আরও বড় লড়াই এবং চ্যালেঞ্জ এবার নিয়ে নিয়েছেন, তা তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে একেবারে দক্ষিণ কলকাতায় কন্যা সুরক্ষা যাত্রা শেষে প্রকাশ্য সভা থেকে তিন অনেক পরের কথা, বিজেপির একজন ওয়ার্ড সভাপতিকে দিয়েই ভবানীপুরে পদ্মফুল ফোটানোর হুংকার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যা শুনে অনেকেই বলছেন যে, তাহলে কি ২০২৬ এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দর্প চূর্ণ হতে চলেছে? শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যের পর এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে।