প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে প্রতিপক্ষ টিমের হয়ে তৃণমূলকে বেগ দিয়েছিলেন, তাতে কেউ ভাবতে পারেনি যে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে। তবে সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে নেপথ্যে সবথেকে বেশি যার ভূমিকা ছিল, সেটা হচ্ছে প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিম আইপ্যাক। তৃণমূলের অনেকেই সেটা স্বীকার করে নেন। তবে এখন প্রশান্ত কিশোর আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শদাতা হিসেবে নেই। তিনি এখন বিহারের রাজনীতিতে মনোযোগী হয়েছেন। তবে অনেকেরই প্রশ্ন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত প্রকল্প গুলো নিচ্ছেন, ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যে সমস্ত উদ্যোগ নিচ্ছেন, সেটা কি কারও পরামর্শে নিচ্ছেন! নাকি নিজে থেকেই তিনি সেই কাজ করছেন? বিভিন্ন সভা সমিতিতেই শুভেন্দু অধিকারী এক ব্যক্তির নাম করে কটাক্ষ করেন. আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের ম্যানেজারের নাম সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি একটি প্রকল্প এনেছেন। যার নাম দিয়েছেন, “আমার পাড়া, আমার সমাধান।” অর্থাৎ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একটি জনমোহিনী প্রকল্প এবং যে প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হবে বলেই দাবি করছে তৃণমূল। তবে মানুষের কাছে তৃণমূলের এই পৌঁছে যাওয়া প্রকল্পের পরামর্শদাতা কে? এদিন প্রতীক জৈন নামে এক ব্যক্তির নাম সামনে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন উঠছে, কে এই ব্যক্তি? তাহলে কি তিনিই এখন তৃণমূলের পরামর্শদাতা? তার কথা মতই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত প্রকল্প এনে ২৬ এর আগে যাতে মানুষের কাছে ভাবমূর্তি স্বচ্ছ হয়, তার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন?
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি, আইপ্যাকের বুদ্ধিতে। আগে প্রশান্ত কিশোর ছিল। ও বিহারে গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হবে বলে। আর ওর একটা ম্যানেজারকে এখানে দিয়ে গিয়েছে। ওই বুদ্ধি দিচ্ছে মমতাকে। প্রতীক জৈন। সে বলেছে, পাড়ায় সমাধান করুন।” আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর কথা যদি ধরে নিতে হয়, তাহলে এটাই ধরতে হবে যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের কোনো পরামর্শ নেই। তিনি অন্য একজনের পরামর্শ নিয়ে ২৬ এর মশলার টিকিয়ে রাখার জন্য ২০২১ এর মতই কাজ করে চলেছেন। এক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোর না থাকলেও প্রতীক জৈন নামে এক ব্যক্তির পরামর্শেই মুখ্যমন্ত্রী এই “আমার পাড়া, আমার সমাধান” সহ বিভিন্ন রকম প্রকল্প এনে যাতে ২৬ এ বিপদ মুক্ত হওয়া যায় এবং আবার ক্ষমতায় আসা যায়, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাতে মুখ্যমন্ত্রী যে সফলতা পাবেন না এবং ২৬ এ যে তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন, সেই ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী।
