প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন এসআইআরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন। তাদের নেতা-নেত্রীরা পথে নামছেন, মিটিং মিছিল করছেন। তবে এই এসআইআরের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গিয়ে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের বিরুদ্ধে যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজ করছে, তাকে ভুলিয়ে দেওয়ার একটা কৌশলী চেষ্টা করছে। এই রাজ্যের বুকে ঘটে যাওয়া অভয়া কাণ্ড থেকে শুরু করে ২৬ হাজার চাকরি চলে যাওয়া, এমনকি মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে ঢোকানোর মত ঘটনাকে কিভাবে ভোলানো যায়, তার সমস্ত রকম কৌশল এসআইআর বিদ্রোহের মধ্যে দিয়ে করার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল। অন্তত তেমনটাই মনে করছে বিরোধীরা। তবে এই জ্বলন্ত ইস্যুগুলি যদি তৃণমূল ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তো ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়বে না! এই প্রশ্ন যখন বিভিন্ন মহলে মাথাচাড়া দিচ্ছে, ঠিক তখনই তৃণমূলকেও যে একচুল জায়গা ছেড়ে দেওয়া হবে না এবং এই সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যু যে মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের শাসক দল বর্তমানে এসআইআরের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। তাদের একটাই বক্তব্য, এসআইআর করে বাংলার বৈধ ভোটারদের বাদ দিচ্ছে বিজেপি। তবে বিজেপিও সেই যুক্তিকে খন্ডন করে পাল্টা পথে নেমেছে। কিন্তু তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল যে অন্য, তা বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতারা। তারা তারা খুব ভালোমতই উপলব্ধি করতে পারছেন যে, তৃণমূল এই এসআইআরের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে মিটিং মিছিল করে বাংলায় তাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত বিষয় রয়েছে, যে সমস্ত ইস্যু রয়েছে, তাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতদিন ধরে যে দুর্নীতি হয়েছে, যে অত্যাচার হয়েছে মা বোনেদের ওপর, তাকে কিভাবে ভুলিয়ে দেওয়া যায়, তার সমস্ত রকম কৌশল এসআইআরের বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে করার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল। তবে তৃণমূল যাতে এই চেষ্টায় সুবিধে লাভ করতে না পারে, তার জন্য বিজেপিও যে পাল্টা ফর্মুলা কষে রেখেছে, তা জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তৃণমূল যেভাবে আসল বিষয়গুলোকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা সবাই রাস্তায় থাকব। বিজেপির সব সাংসদ, বিধায়ক, পদাধিকারী আমরা সবাই রাস্তায় থাকব, মানুষকে বলব। দুর্নীতি ভুলিয়ে দেওয়া যায় না, অভয়াকে ভুলিয়ে দেওয়া যায় না, বেকারত্ব ভুলিয়ে দেওয়া যায় না, টাটাকে তাড়ানো ভুলিয়ে দেওয়া যায় না। এগুলো ভুলিয়ে দেওয়ার জিনিস নয়। তারা চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বাংলার মানুষ ভুলবে না। কালী ঠাকুরকে প্রিজন ভ্যানে তোলা, এই জিনিস কেউ ভুলিয়ে দিতে পারবে না। স্মরণ করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা বিজেপির। আমরা করব।”