প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভোটব্যাংককে নিজের ক্ষমতায় আসার নিশ্চিতকরণ ভেবে নিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা জানে, হিন্দুদের কিছু ভোট পেলেও সংখ্যালঘুদের পুরো ভোট তারা পাবেন। তাই সেই সমস্ত সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় খুব সহজেই আসতে পারবেন তারা। তবে বিজেপি সংখ্যালঘুদের ভোট পাবে না জেনেও, সেই সমস্ত সংখ্যালঘুদের কত বড় ক্ষতি এই রাজ্যের বুকে তৃণমূল সরকারের দ্বারা হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত কিভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, এবার তা নিয়ে সেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদেরই ভাববার আহ্বান জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো মতই জানে যে, তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট অতি সহজেই পেয়ে যাবে। তবে বিজেপি যে এই সংখ্যালঘুদের ভোট পাবে না, তা গেরুয়া শিবিরের নেতারাও ভালো মত জানেন। আর সেই জন্যেই তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোট পেতে তেমন জোর খাটান না। তবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়ার পরেই বারবার করে শমীক ভট্টাচার্য একটা বার্তা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে, এই রাজ্যের বুকে তারা মোটেই নিরাপদ নন। বরঞ্চ তারা যে তৃণমূল সরকারের আমলে নিরাপদ বলে নিজেদেরকে ভাবছেন, এক্ষেত্রে তাদেরই সবথেকে বড় ক্ষতি এই রাজ্যের বুকে হয়ে যাচ্ছে। তাই বিজেপি তাদের ভোটের প্রত্যাশী নয়। কিন্তু তারা এই তৃণমূল সরকারের মুখের দিকে চেয়ে নিজেদের যে ক্ষতি করছেন, তা তাদেরকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের উদ্দেশ্যে বড় বার্তা দেন তিনি। শমীকবাবু বলেন, “আজকে সংখ্যালঘুদের সচেতন হতে হবে। বিজেপি আপনাদের দরজায় নাকখত দিয়ে ভোট চাইতে যাচ্ছে না বা আপনাদের ভোট না পেলে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না, এমনটা নয়। কিন্তু আজকে সংখ্যালঘুদের ভাববার সময় এসেছে যে, মরছে মুসলমান, মারছে মুসলমান। সমস্ত মুসলিম গ্রামে আজকে আগুন জ্বলছে। জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে বগটুইতে। হসপিটালে চলে যান, সব থেকে বেশি সংখ্যালঘু। থানার লকআপে চলে যান, সবথেকে বেশি সংখ্যালঘু। জেলে চলে যান, সব থেকে বেশি সংখ্যালঘু। কারণ কি! কেন আজকে সমাজটার এই দুর্দশা, কেন এত দারিদ্র্য, কেন অশিক্ষা, কেন সরকারি চাকরিতে তারা নেই, এটা তাদেরকে আজকে ভাবতে হবে।” অর্থ্যাৎ সংখ্যালঘুদের ভোট পাওয়ার জন্য বিজেপি তেমন আশাবাদী না হলেও, তাদের সমাজের ধ্বংস যেভাবে করে দিচ্ছে এই তৃণমূল সরকার, তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ২৬ এর আগেই সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন থেকে তৃণমূলকে সরিয়ে দেওয়ার কৌশলী পদক্ষেপ নিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। দিনের শেষে এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।