প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। আগামী ২২ তারিখ যে তার নতুন দল লঞ্চ হতে চলেছে, তা গতকাল আবার ঘোষণা করেছেন তিনি। এমনকি নতুন দলের রাজ্য কমিটি ঘোষণার পাশাপাশি বেশ কিছু জেলার সংগঠনকে তৈরি করতে তিনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। তবে প্রশ্ন একটাই যে, হুমায়ুন কবীর কি এত সামান্য সময়ে দল গঠন করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার মত ক্ষমতা দেখাতে পারবেন? আর সকলের মনের সেই সংশয়কে দূর করে দিয়ে আবারও সংখ্যালঘু প্রার্থীদের জিতিয়ে কতগুলি আসনে তিনি বিধানসভায় আসবেন এবং নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়াবেন, তা জানিয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর। আর যদি এটাই বাস্তব হয়, তাহলে আগামী দিনে যে সত্যিই তিনি নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছেন বঙ্গ রাজনীতিতে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর হুমায়ুন কবীর নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। এমনকি যেদিন তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাসে অংশ নিয়েছিলেন, সেদিনও সেই মঞ্চ থেকে দিয়েছিলেন বড় হুঙ্কার। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলের থেকেই সম দূরত্ব বজায় রেখে তিনি নতুন দল গঠন করবেন। এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে তিনি আবেদন করেছিলেন যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা যেন তাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে বেশি করে বিধানসভায় পাঠান। এক্ষেত্রে তারা বিরোধী দলের আসন লাভ করে যারা সরকারে থাকবে, তাদেরকে যে মোক্ষম চাপে রাখবেন, সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। আর গতকাল সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করে ১৩৫ টি আসনে তার নতুন দল লড়াই করবে বলে জানিয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর। এক্ষেত্রে যত আসনে লড়াই হবে, তার মধ্যে বেশ কিছু আসনে দলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে বিধানসভায় নির্ণায়ক শক্তি হওয়ার বার্তা দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হুমায়ুন কবীর। আর সেখানেই ২৬ এর নির্বাচনে নতুন দল গঠন এবং তার লড়াই নিয়ে বড় মন্তব্য করেন তিনি। হুমায়ুনবাবু বলেন, “আমি কারও ভাগ বসাবো না। আমি নিজে মুসলিমদের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য এই বিধানসভায় ১৩৫ টি আসনে লড়াই করে ৭০ থেকে ৯০ টি আসনে জিতে এই বিধানসভায় আসব। নির্ণায়ক শক্তি হুমায়ুন কবীরের নতুন পার্টি হবে। এটুকু আপনাকে বলে দিলাম।”