প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে ২০২১ এ যেমন তিনি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করিয়েছেন, ঠিক একইভাবে এবারের নির্বাচনেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেখাবেন। বিভিন্ন সভা সমিতি থেকে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে দাঁড়ালে, সেখানেই তাকে হারানো হবে বলে দাবি করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে এবার শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, তার ভাইপোকেও ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। যেখানে তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসআইআর হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের ছটফটানি যেন অনেকাংশই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এসআইআর করলেও বিজেপির আসন সংখ্যা ৫০ এর নিচে নেমে যাবে বলেই দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকে আবার এটাও বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী নিজেই জিততে পারবেন না। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কিন্তু নিজের ব্যাপারে কনফিডেন্ট। তিনি প্রতিনিয়ত দাবি করছেন যে, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের যে কেউ এসে দাঁড়াক। আর তাকে যদি তার দল প্রার্থী করে, তাহলে তিনি তাকে হারিয়ে দেখাবেন। এমনকি ভবানীপুরেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার হারিয়ে দেখাবেন বলে প্রত্যেকদিন শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে এই কথা শোনা যাচ্ছে। আর এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ক্ষমতা কতটা রয়েছে, তা নিয়ে তাকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করা নিয়ে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে এক কোটি টাকা করে দিলেও কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে দাঁড় করিয়ে দিলেও কেউ ভোট দেবে না। আমি চাই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে পাঠাক।” স্বাভাবিক ভাবেই যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে সবথেকে বেশি রেকর্ড ভোটে জেতেন, তার তো জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তাই তিনি এত বড় রাজনৈতিক জনপ্রিয় ব্যক্তি যদি হয়েই থাকেন, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর এই চ্যালেঞ্জ তো গ্রহণ করার কথা। ফলে তিনি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নিজের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব এবং নিজের ক্ষমতা কি দেখাতে পারবেন? দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।