প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাত পোহালেই এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী থাকতে চলেছে গোটা বাংলা তথা গোটা দেশ। যেখানে ৫ লক্ষ কন্ঠে আয়োজিত হতে চলেছে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ব্রিগেড ময়দানে সাজো সাজো রব। হিন্দু জনজাগরণের পক্ষে এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলেই। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সেই কর্মসূচিতে আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। আর সেই বিষয়েই এবার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই রাজ্যের বুকে বারবার করে বিরোধীরা অভিযোগ করেন যে, হিন্দুরা নিরাপদ নয়। এমনকি আজ বাবরি মসজিদের যে শিলান্যাস হয়েছে এবং সেখানে যেভাবে পুলিশ প্রোটেকশন দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখে যতই হুমায়ুনবাবুকে সাসপেন্ড করুক তৃনমূল, তলায় তলায় যেভাবে মৌলবাদীদের গর্জন শোনা গিয়েছে, তাতে পুলিশ দিয়ে তাকে যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে রয়েছে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান। তবে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি কি আসবেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে। আর সেই বিষয়েই বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী আগামীকাল ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসবেন না। আর সেই বিষয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “উনি যাবেন কেন? যিনি বলেন, হিন্দুধর্ম গন্ধা ধর্ম, যিনি বলেন, মহাকুম্ভ নয়, মৃত্যুকুম্ভ। যিনি ২২ জানুয়ারি ২০২৪, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, রাম মন্দিরের বিরুদ্ধে মিছিল করেছিলেন, তিনি গীতা পাঠে যাবেন কেন? তিনি পিতৃপক্ষকে পূজা উদ্বোধন করেন হিজাব মাথায় দিয়ে। তিনি যাবেন কেন? তাই এগুলো দেখুক। এখনও কিছু পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সনাতনী, তারা এখনও লোভের ভয়ে, পদ বাঁচানোর ভয়ে তৃণমূল করেন। তারা দেখুন।”