প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রথম দিন থেকেই দাবি করছেন যে, এসআইআরের পর ভুয়ো ভোটারদের নাম এত বাদ যাবে যে, তৃণমূলের আর ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ এতদিন এই সমস্ত ভুয়ো, অবৈধ এবং মৃত ভোটারদের কাজে লাগিয়েই তৃণমূল একের পর এক ভোট বৈতরণী পার হয়েছে। কিন্তু এসআইআর ঠিকমত হলে রাজ্যে এক কোটির কাছাকাছি নাম বাদ যাওয়ার দাবি প্রথম দিন থেকে করে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই গতকাল খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। যেখানে প্রায় ৫৮ লক্ষ মানুষের নাম গোটা রাজ্য জুড়ে বাদ গিয়েছে বলে খবর। আর এই তালিকা সামনে আসার পরেই উজ্জীবিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দিলেন বড় হুঙ্কার। কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে না দিলেও এতদিন তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির যে ভোটের শতাংশের ফারাক ছিলো, এই ৫৮ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার পর তৃণমূল এবং বিজেপি রাজ্যে সমান সমান বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, আগামী দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত ভোটার লিস্ট বেরোনোর সময় যে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন তিনি।
বর্তমানে এসআইআরকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রতিমুহূর্তে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন যে, এসআইআরের পর এই রাজ্যে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। এতদিন যে সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, ভুয়ো ভোটার, মৃত ভোটার এবং স্থানান্তরিত ভোটারদের কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ভোট পেয়েছে, এসআইআরের পর আর তাদের সেই কৌশল রপ্ত করা সম্ভব হবে না। উল্টে প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার কারণে তৃণমূলের ভোটব্যাংক অনেকটাই কমে আসবে। যার ফলে তারা চতুর্থবারের জন্য আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই গতকাল খসড়া তালিকায় ৫৮ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যেতেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির যে এখন আর কোনো ফারাক থাকলো না, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি আগামী দিনে যে আরও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে, সেই আভাসও দিয়ে দিলেন তিনি।
গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই এসআইআরের পর খসড়া তালিকায় ৫৮ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৫৮ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাওয়া, যারা ২০২৪ এ ছিলেন এবং ২০২৪ এর ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ফারাক মাত্র ২১ লক্ষ। আমরা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার, আর ওরা ২ কোটি ৭৫ লক্ষের আশেপাশে। অর্থাৎ ৪১ লক্ষের কিছু ভোটের ফারাক ছিল। আর তৃণমূলের সঙ্গে যেহেতু সরাসরি লড়াই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির হচ্ছে, তাই আমাদের সঙ্গে ওদের ডিফারেন্স ছিলো ২১ লক্ষ। ৫৮ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে যে, ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে ওদের কোনো ডিফারেন্স এই মুহূর্তে নেই। বিপুল সংখ্যক নাম আরও বাদ যাবে এবং আমি যে সংখ্যা বলেছিলাম, সেটা আর আজকে আর রিপিট করব না। কিন্তু সেই সংখ্যার থেকেও আরও বাড়বে।”