প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে নরেন্দ্র মোদী যেদিন সভা করতে এসেছিলেন, সেদিন সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির হয়ে ময়দানে নামতে চলেছেন। আর সেই মতই আজ থেকে একাধিক সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তিনি। গিরিশ পার্কে দলীয় একটি সাংগঠনিক বৈঠকের পরেই বর্তমানে যে ইস্যু নিয়ে সব থেকে বেশি সরগরম রাজ্য রাজনীতি, সেই ভুয়ো ভোটার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তৃণমূলের কম্পন ধরিয়ে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
বর্তমানে ভুয়ো ভোটারকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, নির্বাচন কমিশন বিহারের পর বাংলায় ভোটার তালিকায় সংশোধনী করার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলেই খবর আসছে। আর তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, বাংলাকে দখল করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। যদিও বা বিজেপির দাবি, বাংলায় অনেক অবৈধ ভোটার এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছে, যারা তৃণমূলের ভোটব্যাংক। তাই তাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই প্রক্রিয়া শুরু হলে তৃণমূল ক্ষমতায় আসতে পারবে না কারণ রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশ কারীরা এবং অবৈধ ভোটাররা তখন ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে। যার ফলে তৃণমূলের আর ক্ষমতায় আসা হবে না। আমি সেই কারণেই এখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর বিজেপির সেই কথাই তুলে ধরে ভোটার তালিকায় সংশোধনী হলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা যে একেবারে তলানিতে ঠেকে যাবে, সেই কথাই উল্লেখ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “যারা বেছে বেছে এখানে এসেছেন, সেই বেছে বেছেদের ফেলে ফেলে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে বেশি প্রবলেম। ওই জন্যই এখানে এত চেঁচামেচি হচ্ছে। ওরা জানেন যে, বেছে বেছে যারা এসেছেন, বেছে বেছে তুলে নিলে এই সরকার ৭০ টা সিটও পাবে না।” অর্থাৎ এতদিন বিজেপি যে কথা বলেছে যে, এই রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীরা ভরে গিয়েছে এবং তাদেরকেই ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়ে তৃণমূল এতদিন তাদের ভোট নিয়েছে এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, ঠিক সেই একই কথা শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীর গলায়। তিনিও স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন যে, এই অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেলে তৃণমূলের সাড়ে সর্বনাশ হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।