‘অখুশি’ তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা, পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ খবর রাজ্য March 12, 2018 রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রধান সহায় ছিলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মহলের বৃহদাংশ। তৎকালীন বাম সরকারকে চাপে ফেলতে সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, নেতাই থেকে কলকাতার ওয়াই-চ্যানেল সর্বত্র এই বুদ্ধিজীবী মহল পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সরব হয়েছিলেন বাম জমানার অবসানের দাবিতে। আর রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পর তাই মুখ্যমন্ত্রী এই বুদ্ধিজীবীদের কাছে টানতে নিয়েছিলেন একাধিক পদক্ষেপ। কাউকে দিয়েছেন নির্বাচনের টিকিট, কাউকে করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ তো কাউকে বসিয়েছেন গুরুত্ত্বপূর্ন কমিটির মাথায়। এবারের রাজ্যসভা ভোটের আগেও শোনা যাচ্ছিল বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবীর নাম তৃণমূলের সাংসদ হিসাবে, এমনকি শিল্পী শুভাপ্রসন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেন, তাঁর কাছে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ এলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বাদেও রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নাম শোনা যাচ্ছিল কবি সুবোধ সরকার, কবি জয় গোস্বামী, গবেষক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, অভিনেতা ইন্দ্রাণী হালদারের মত আরও অনেকের। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই প্রথম তৃণমূলনেত্রী কোনো ‘চমকের’ নামে না গিয়ে দলীয় নিষ্ঠাবান কর্মী-নেতাদের বেছে নিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে চলেছেন নাদিমুল হক, আবির বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী এবং শান্তনু সেন। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার এক ওয়েব পোর্টালের খবরানুযায়ী প্রচন্ড ‘অখুশি’ তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে অসন্তোষ সামাল দিতে শীঘ্রই শিল্পী শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বৈঠক করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে ‘পরিবর্তন’ চেয়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির এবং বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রকাশ্যেই জানানো হয়েছে তৃণমূলের দেখানো পথেই বাংলার পরিবর্তনের জন্য তারাও বুদ্ধিজীবীদের পাশে পেতে মরিয়া। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীদের এই ‘অসন্তোষ’ কাজে লাগাতে মরিয়া হতেই পারে গেরুয়া শিবির। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -