বিজেপিকে আটকাতে সিপিএমের হাত ধরতে চান তৃণমূলের মন্ত্রী, সরগরম রাজ্য-রাজনীতি বিশেষ খবর রাজ্য March 31, 2018 গেরুয়া শিবির কে পরাস্ত করতে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিএম এর সাথে জোট করার সম্ভবনার আভাস দিলো। গত বুধবার মহাজাতি সদনে সিপিআইয়ের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পাণ্ডার স্মরণসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানে নিজের বক্তব্যে শোভনদেব বাবু জানালেন, দেশের অখণ্ডতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনে সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধে উঠে আমাদের সার্বিকভাবে জোটবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। এজন্য নয়া ইতিহাস রচনাও দরকার হতে পারে! রাজ্যের শাসক দলের মন্ত্রীর এ হেন বক্তব্যে কার্যতই চমকে গেলেন বাম শিবিরের নেতৃবৃন্দ। সিপিএমের এক নেতার কথায়, এতো ভূতের মুখে রাম নাম! আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অবশ্য শোভনদেববাবুর জোটবার্তার ইঙ্গিতকে স্পষ্ট ভাষায় প্রত্যাক্ষাণ করে বিধানসভার সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কোনও প্রশ্নই নেই। ওরা আগে নিজেদের ঘর সামলাক! এদিকে শোভনদেববাবুর জোট প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে তৃণমূল শিবিরের ভেতরে শুরু হয়েছে আলোড়ন। দলীয় নেতা মন্ত্রী থেকে সাধারণ কর্মী তাঁদের মতে, যাদের বিরুদ্ধে এত লড়াই করে রক্ত ঝরিয়ে আমরা ক্ষমতায় এলাম, তাঁদের সঙ্গে জোট! ক্ষমতায় থাকার স্বাদ কি এতটাই মিষ্টি, যে ওদের ওই রক্তমাখা হাত ধরতেও আমাদের নেতাদের দ্বিধা করছে না। নেতারা কি ভুলে গেলেন ছোট আঙারিয়া, কেশপুর, নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ের সেই রক্তাক্ত দিনগুলো? তাহলে প্রতিবছর ঘটা করে আমরা কেন ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করি? তবে দলের রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী তাঁর এতদিনের রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার সুবাদে বললেন, আমি দলের মুখপাত্র নই। তাই এবিষয়ে আমার মন্তব্য করা অনুচিত। তবে ব্যাক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, রাজ্যে সবথেকে বিপদগামী দল কোনটা? সেটা লক্ষ্য রেখে এগোতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য দেশে শান্তি অক্ষুন্ন রাখা। গণতন্ত্র রক্ষা করা। সেক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দল আমাদের সঙ্গে জোট বাঁধতে চাইলে তাদের স্বাগত। আবার কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ও রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলছেন, সারা ভারতবর্ষের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিজেপির হাত থেকে নিষ্কৃতি চাইছে। সারা দেশকে বাঁচাতে যা প্রয়োজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই করবেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, বামেদের সঙ্গে জোট বাঁধার প্রশ্নই নেই। আমি জেলার নেতা। কলকাতার নেতাদের বিষয়ে মন্তব্য করাটা আমার ঠিক হবে না! যা বলার বলবেন দিদি।! এখন বাম শিবিরের সাথে জোট প্রস্তাবের সম্ভবনা বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেয় সেই দিকে তাকিয়ে কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত জেলার দলীয় কর্মীরা। আপনার মতামত জানান -