প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালোমতোই বুঝতে পেরেছেন যে, ২০২৬ এর নির্বাচনের বৈতরণী এত সহজে পার হওয়া সম্ভব হবে না। কারণ যেভাবে বিজেপি এই রাজ্যে বিভিন্নভাবে তৃণমূল সরকারকে চাপে রেখেছে তাতে হিন্দুরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট দেয়, তাহলে তৃণমূলের আর ক্ষমতায় আসা হবে না বলে কার্যত নিশ্চিত বিরোধীরা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপি অভিযোগ করে যে, বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের একটা সেটিং রয়েছে। কারণ এই বামেরা ভোটের সময় বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা বললেও, “নো ভোট টু মমতা” কেন বলে না? এই প্রশ্ন মাঝেমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে তোলা হয়। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার বিরোধীরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বলে পাল্টা দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলা বাহুল্য, গতকাল বিভিন্ন রাজ্যে বাঙ্গালীদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে কলকাতায় একটি মিছিল করেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সিপিএম এবং বিজেপিকে এক আসনে বসিয়ে কটাক্ষ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, এরা সবাই একত্রিত হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আর একটা দল রয়েছে, সিপিএম। লজ্জাও নেই। শূন্যে গেছে, এখন মহাশূন্য হবে। রাম-বাম জোট বেঁধেছে। স্বপ্ন দেখছে যে, এই সমস্ত অত্যাচার করে, ভোটার লিস্টে কারচুপি করে আবার কেশপুর, গড়বেতা, ছোটো আঙাড়িয়া করবে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে জগাই, মাধাই, গদাই, হয়েছে সব ভাই ভাই। এদের চিহ্নিত করুন।”

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য শুনে পাল্টা কটাক্ষ করছে গোটা বিরোধী শিবির। তাদের বক্তব্য, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন ভয় পেয়েছেন। তিনি বুঝতে পারছেন যে, ২৬ এ তার আর ক্ষমতায় আসা হচ্ছে না। কারণ এতদিন যে দলের সঙ্গেই তৃণমূলের সেটিং থাক না কেন, সকলের মনেই একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তৃণমূলকে এই রাজ্য থেকে না তাড়ালে কেউ ঠিকমত নিজেদের গণতান্ত্রিক পরিসরে রাজনীতি করতে পারবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলগুলোই এখন তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে ২৬ এর নির্বাচনে লড়াই দিতে চাইছে। আর যদি ঠিকমত সেই লড়াই হয়, তাহলে তৃণমূলের বিদায় যে একপ্রকার নিশ্চিত, তা বুঝতে পেরেই এখন সিপিএম থেকে শুরু করে বিজেপি, সকলকেই অলআউট অ্যাটাকে নেমে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।