প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
ক্রমাগত দলের থেকে দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের। দল তার সঙ্গে বেশ কিছুদিন আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করলেও, তিনি কিন্তু এখনও পর্যন্ত দলের প্রতিই আস্থা রাখছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মাঝে তার চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও সেখানেও তিনি কার্যত যুদ্ধ করে আইনি লড়াই করে নিজের স্বীকৃতি নিয়ে এসেছেন। তবে এবার সেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তন সেনের গ্রেপ্তারির দাবিতে সিঁথি থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই।
বলা বাহুল্য, গতকাল থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন। যেখানে শান্তনু বাবু এবং তার স্ত্রী কাকলি সেন যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সেখানে বেশ কিছু ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। যার ফলে সেই শান্তনু সেনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। অনেকেই বলেছিলেন যে, এটা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোল। অতীন ঘোষের গোষ্ঠীরাই শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। তবে আজ বিষয়টি আরও চরম আকার ধারণ করলো।
জানা গিয়েছে, এদিন সিঁথি থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে দেন তৃণমূলের প্রচুর নেতা কর্মী। যেখানে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলেরই প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা যেভাবে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তার গ্রেপ্তারির দাবিতে, তাতে রীতিমত টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শহর কলকাতা জুড়ে। এভাবেই যদি তৃণমূল নিজেদের মধ্যেই গৃহযুদ্ধ চালাতে থাকে, তাহলে যে কলকাতায় তারা এত শক্তিশালী বলে দাবি করে, সেই কলকাতার পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে থাকবে তো? কারণ হাতে আর বেশি সময় নেই বিধানসভা নির্বাচনের। তাই তার আগে দলের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে দলের আর এক গোষ্ঠীর এইভাবে প্রকাশ্যে পথে নামা এবং প্রাক্তন সাংসদের গ্রেপ্তারির দাবি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে সামনে আনার পাশাপাশি গোটা দলকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।