প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিরা নিরাপদ নয়, সেখানে তাদের মারধর করা হচ্ছে, তারা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। তবে শুধুই কি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? বাংলা কি সত্যিই নিরাপদ? কিন্তু না, এবার কোচবিহারে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো আরও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় রীতিমত তরজায় জড়িয়ে পড়লো তৃণমূল এবং বিজেপি।

জানা গিয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙ্গালীদের মারধর করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যখন অভিযোগ তুলছেন, ঠিক তখনই তার নিজের রাজ্যেই ঘটে গিয়েছে এক নৃশংস ঘটনা। যেখানে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার পানিশালা এলাকায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কি কারনে তাকে এইভাবে খুন করা হলো? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুবোধ মালাকার। তিনি পরিতোষ দাস নামে আরও এক ব্যক্তির জমিতে চাষবাসের কাজ করতেন। তবে সেই কাজ নিয়ে গন্ডগোলের জন্যই সুবোধ মালাকারকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সুবোধবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই ঘটনাতেই পরিতোষ দাস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

তবে এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনায় যে সুবোধ মালাকারকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে, সেই সুবোধ মালাকার তাদের দলের কর্মী বলেই দাবি করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানেই শেষ নয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরো দাবি করা হয়েছে যে তাদের দলের কর্মীকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে আর এই গোটা ঘটনার পেছনে জড়িত রয়েছে বিজেপি যদিও বা গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অর্থাৎ এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন এবং তারপর যেভাবে গোটা ঘটনায় রাজনীতির রং লেগে গেল এবং শাসক বিরোধী তরজায় জড়িয়ে পড়লো, তা কার্যত নজিরবিহীন। তবে শেষ পর্যন্ত কি কারনে খুন হলেন সেই ব্যক্তি এবং সেই পরিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কতটা সহযোগিতা পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।