প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এবার কি ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় আগ বাড়িয়ে তিনি যুদ্ধ মিটিয়ে দিয়েছেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা ভারতবাসীদের মননে আঘাত দিয়েছিল। যেখানে দুই দেশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই যুদ্ধ থেমেছে, সেখানে কি করে ট্রাম্প ক্রেডিট পারেন, এই প্রশ্ন অনেকেই তুলতে শুরু করেছিলেন। আর তার মধ্যেই এবার সেই ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি এবার বাড়তি শুল্ক চাপতে চলেছে ভারতের ঘাড়ে? কিন্তু যদি সেরকম কোনো ঘটনাই ঘটে, তাহলে কি পরিস্থিতির সমাধান করে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
প্রসঙ্গত, আগস্ট মাস থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নতুন নীতি নিয়ে আসছে। যেখানে নতুন করে চালু হচ্ছে শুল্কনীতি। আর তার আগেই ভারতের পক্ষ থেকে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার ব্যাপারে খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম কিছুই হয়নি বলেই খবর। যার ফলে যদি সেই বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তাহলে কি ১ আগস্ট থেকেই ভারতের ওপরে বাড়তি শুল্ক চাপতে পারে? আর যদি এইরকম কোনো ঘটনা ঘটেই থাকে, তাহলে ভারতের সঙ্গে কি দূরত্ব তৈরি হবে আমেরিকার? এতদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে যে সখ্যতা ছিল, বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপানোর কারণে কি আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠবে নরেন্দ্র মোদী সরকার?
ইতিমধ্যেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আলোচনা চলছে। তবে এখনও তা চূড়ান্ত নয়। ভারত আমেরিকার ভালো বন্ধু। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারত অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি শুল্ক আরোপ করেছে। কিন্তু আমি যখন ক্ষমতায় আছি, তখন আপনি এটা করতে পারবেন না। আমার মনে হয়, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। আশা করি, এটি সবার জন্য, বিশেষ করে আমেরিকার জন্য খুব ভালো হবে।”
আর ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সময়ের মধ্যে যদি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তাহলে বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপতে পারে ভারতের ঘাড়ে। তবে হাতে আর মাত্র একদিন বাকি রয়েছে আগস্ট মাস শুরু হওয়ার। তাই আগস্ট মাসের শুরু থেকেই যদি আমেরিকা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটুট থেকে শুল্কের বোঝা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার আগে যদি একদিনের মধ্যেই ভারত বাণিজ্য চুক্তি না করে, তাহলে তৈরি হতে পারে সমস্যা। সেক্ষেত্রে বাণিজ্য চুক্তি না করে কি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পরিস্থিতির সমাধান করতে পারবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, তা কি অটুট থাকবে! নাকি এই বাণিজ্য চুক্তিকে কেন্দ্র করে শুল্ক চাপানোর যে সিদ্ধান্ত আমেরিকা নিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হবে সংঘাতের আবহ? প্রশ্ন তুলছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।