প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিহারে ভোটার তালিকায় সংশোধনের পরেই রীতিমত ছটফটানি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা-নেত্রীরা অভিযোগ করছেন, এসআইআর করে বাংলা দখল করার সূক্ষ্ম চক্র চক্রান্ত করছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তারা এই কাজ করানোর চেষ্টা করছে, যাতে প্রচুর মানুষের নাম বাদ যায়। তবে বিজেপির দাবি, এসআইআর করলে প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ যাবে না। যারা রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী তাদের নাম বাদ যাবে। আর এরা তৃণমূলের ভোটব্যাংক জন্যেই তাদেরকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এসবের মধ্যেই এবার এসআইআর হলে তৃণমূলের বিদায় যে একেবারে নিশ্চিত, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটা বিষয় নিয়েই সব থেকে বেশি সোচ্চার হচ্ছেন, তা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া। তার দাবি, এই প্রক্রিয়া শুরু না হলে রাজ্যে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হবে না এবং তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশ কারীদের ভোটব্যাঙ্ক করে নিয়েছে। তাই যারা বাংলাদেশি, তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিতাড়িত করার কাজ এই ভোটার তালিকা সংশোধনের মধ্যে দিয়েই করতে হবে। যদিও বা বাংলা ও বাঙালির প্রতি বিজেপি হেনস্থা করছে বলে পাল্টা আন্দোলনে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা নেত্রীরা। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে যতই এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলকে নিয়ে পথে নামুন না কেন, তাতে যে কোনো লাভ নেই, তা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পাল্টা দাবি, এসআইআর হওয়ার পরেই ঠ্যালা বুঝবে তৃণমূল কংগ্রেস। ঠিক কি বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসআইআর হওয়ার পরে আপনার এই ভোট, ২ কোটি ৭৫ থেকে ১ কোটি ৭৫ এসে নামবে। আপনি লিখে রাখুন, কিছু করতে পারবেন না। দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মত ফুলবেন।” আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট যে, নির্বাচন কমিশন বাংলায় ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। কারণ তা না হলে এত কনফিডেন্ট হয়ে শুভেন্দু অধিকারী এত বড় কথা বলতেন না। আর সাম্প্রতিককালে তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, তৃণমূলকে সরানোর জন্য সমস্ত ব্লু প্রিন্ট তৈরি। শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন এই ভোটার তালিকায় সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু করলেই রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে। আর তাতেই তৃণমূলের ভোট প্রায় এক কোটির বেশি কমে যাবে। আর এই সমীকরণ সত্যি হলে ২০২৬-এই তৃণমূল বিদায় নিশ্চিত। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।