প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমাগত তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াই শুরু হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের দ্বন্দ্বের কারণেই প্রাণ হারাচ্ছেন তৃণমূলের একের পর এক নেতা কর্মীরা। আর এসবের মধ্যেই এবার শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুক বলে পরিচিত কাঁথি এলাকায় তৃণমূলের এক নেতাকে খুনের টার্গেট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের নেতা কর্মীরাই সবথেকে বেশি আতঙ্কে ভুগছেন বলে খবর। কেননা হুগলি থেকে শুরু করে বীরভূম, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীরা প্রাণ হারাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই এর পেছনে কি কারন রয়েছে, তা নিয়ে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। আর তার মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার খাস তালুক বলে পরিচিত কাঁথি এলাকায় তৃণমূল নেতা আব্দুর সাত্তারকে খুনের টার্গেট করা হয় বলে অভিযোগ। যেখানে ধৃত দুই ব্যক্তির কাজ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও বা কি কারণে এই ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল, তার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, যে তৃণমূল নেতাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে, সেই তৃণমূল নেতা একজন কাজু ব্যবসায়ী। আর যে দুই ব্যক্তিকে এই ঘটনার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা এর আগেও একটি ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেতার পাশাপাশি এই আব্দুর সাত্তার বড় মাপের কাজু ব্যবসায়ী জন্যই কি তাকে টার্গেট করা হয়েছিল? কি কারনে এই তৃণমূল নেতাকে আক্রমণের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। আর সবথেকে বড় কথা, যেহেতু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার খাস তালুক এই কাঁথি এলাকা, সেহেতু সেই এলাকায় এই ধরনের ঘটনা রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে পুলিশি তদন্তে ঠিক কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।