প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তবে তার আগে বিহারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনকে কেন্দ্র করে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। যার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গেও পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করছে যে, এখানেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন করে বিজেপি জিততে পারবে না জন্য অনেকের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। যেমনটা বিহারে করেছে। তবে এবার সেই বিহার থেকেই এলো বড় খবর। যেখানে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের নাম। আর সেই ঘটনার পরেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আরও বেশি করে এই ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী পর্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।
বলা বাহুল্য, বর্তমানে বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনীকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ক্রমাগত প্রতিবাদ করছে। এমনকি এসআইআরের প্রতিবাদে সংসদের বাইরেও লাগাতার ইন্ডি জোটের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। আর এতসবের মধ্যেই যে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী নিয়ে বিরোধীরা এত প্রশ্ন তুলছে, সেই ক্ষেত্র থেকেই এলো বড় খবর। যেখানে বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের নাম খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, এদিন বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা নিজের নাম বাদ গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। তার বক্তব্য, ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়েছে। যদিও বা তেজস্বী যাদব এই ধরনের অভিযোগ করলেও তাতে মান্যতা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তবে যখন এই ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধীরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে, বিজেপিকে কটাক্ষ করছে, ঠিক তখনই তেজস্বী যাদব যেভাবে নিজের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার অভিযোগ তুললেন, তাতে নির্বাচন কমিশনের এই পদ্ধতি নিয়ে বিরোধীরা যে আরও বেশি করে সোচ্চার হওয়ার সুযোগ পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তেজস্বী যাদবের এই অভিযোগ নির্বাচন কমিশন উড়িয়ে দিলেও বাস্তব সত্যটা কি, কে ঠিক বলছে, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।