প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এমনিতেই রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনে একটি বিষয় গেঁথে গিয়েছে যে, এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, এখানে দলতন্ত্র চলে। পুলিশ দিয়ে সব সময় বিরোধী নেতাকর্মীদের হেনস্থা করা হয়। আর সেই বিষয়টিকে আরও সত্যি করে দিয়ে গতকাল তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে অসভ্যতা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে করা হয়েছে, তাতে তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়লো না তো? সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে বিরোধী দলনেতার কনভয়ে যেভাবে হামলা করা হলো, তাতে তো রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নতুন করে অস্ত্র পেয়ে গেলেন! তৃণমূল বিরোধীতার ক্ষেত্রে তিনি আরো বেশি করে সোচ্চার হওয়ার সুযোগ পেয়ে গেলেন! তাই এসব বুঝেও তৃণমূল যেভাবে হিংসার পথ বেছে নিচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে এর ফল তাদেরকে ভুগতে হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, গতকাল কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলা করা হয়। যেখানে তার গাড়ির কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান শুভেন্দুবাবু। পরবর্তীতে তিনি গোটা ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, যেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তাই সুরক্ষিত নয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কি করে এই তৃণমূল সরকারের আমলে নিরাপদ থাকবেন? তৃণমূল গতকাল যে অসভ্যতা করেছে, যেভাবে তার কনভয়ে হামলা করেছে, এর ফলে তৃণমূলকে যে তার চরম মাশুল চোকাতে হবে, উত্তরবঙ্গ থেকেই তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আজকে আপনারা যা করেছেন রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী মুসলমানদের নিয়ে, তোলাবাজ ভাইপো অভিষেকের সমর্থন নিয়ে, এর ফল আগামী বিধানসভা ভোটে এপ্রিল মাসে আপনাদেরকে ভুগতে হবে। গতবার ৫৪ টি আসনের মধ্যে ৩১ টি বিজেপি পেয়েছিল। এবার আপনারা এখান থেকে খাতা খুলতে পারবেন না।” অর্থাৎ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আত্মবিশ্বাসী যে, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল বিরোধীতা তো রয়েছেই। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সংগঠন এমনিতেই দুর্বল। কিন্তু সেখানেও যেভাবে বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলা করা হয়েছে, তা মানুষ ভালোমত মেনে নিতে পারেননি। তাই তৃণমূলের এই সন্ত্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে আগামী দিনে এই উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূল শুন্য হয়ে যাবে বলেই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।