প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে যে আইনের শাসন নেই, তা খুব ভালোমতই জানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় সরকার। বারবার করে বাংলা থেকে তাদের কাছে রিপোর্ট জমা হচ্ছে একের পর এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু গতকাল এই বাংলার বুকে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তা সমস্ত সীমারেখাকে লংঘন করেছে বলেই দাবি বঙ্গ বিজেপির। যেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার জীবন সুরক্ষিত নয়, যেখানে তার কনভয়ে হামলা হয়, সেখানে কি করে রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে পারে, এই প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠছে। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ফোন করে খবর নেওয়া হয়েছে। শুভেন্দুবাবুর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। আর তার মধ্যেই এবার জাতীয় স্তরে অর্থ্যাৎ সংসদে জাতীয় বাংলায় যে আইনের শাসন নেই, সেই বিষয়টি তুলে ধরতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

প্রসঙ্গত, গতকাল থেকেই গোটা রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ওটর হামলার ঘটনায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন যে, রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে, তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। আর তার মধ্যেই এবার বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উস্মা প্রকাশ করে সংসদে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। আজ রাজ্যসভায় এই ব্যাপারে আলোচনার আবেদন জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি। যেখানে শমীকবাবু দাবি করেছেন যে, বাংলায় আইনের শাসন নেই। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পরেই বিরোধী দলনেতার পদ, সেখানে তার নিরাপত্তাই যখন সুরক্ষিত নেই, সেখানে বাংলায় গণতন্ত্র কি করে সুরক্ষিত থাকবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলা হওয়া মানে গোটা বিজেপি পরিবারের ওপর হামলা হওয়া। তাই এক্ষেত্রে বিজেপির আরও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ওঠা প্রয়োজন। আর সেটাই করে দেখালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি একেবারে জাতীয় স্তরে পশ্চিমবঙ্গে কি চলছে, সেই ব্যাপারে তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিয়ে বাংলায় যে আইনের শাসন নেই, বাংলায় যে বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, সেই বিষয়টি উত্থাপন করে, গোটা দেশের কাছে তৃণমূলের আমলে বাংলায় কি অরাজক পরিস্থিতি চলছে, তার পর্দা ফাঁস করে দিলেন। যা নিঃসন্দেহে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীকবাবুর যেমন অত্যন্ত গঠনমূলক পদক্ষেপ, ঠিক তেমনই তৃণমূলের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার মত ঘটনা বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।