প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যে কি দুর্নীতি হয়েছে, তা তো দিনের আলোর মত পরিষ্কার। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাই জেলের ভেতরে বলে মাঝেমধ্যেই কটাক্ষ করে বিরোধীরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত জেলের ঘানি টানছেন। বিরোধীরা দাবি করে যে, শুধু পার্থবাবু কেন, তৃণমূল সরকারের আপাতত সকলেই এই শিক্ষা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ধীরে ধীরে তদন্ত হলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে। আর এসবের মধ্যেই আজ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চন্দ্রনাথ সিনহা।
প্রসঙ্গত, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দ্বৈরথ ক্রমশ তুঙ্গে। ভোটার তালিকার ইস্যু নিয়ে দুই দলের মধ্যে ঝাঁঝালো আক্রমণ চলছে। আর তার মধ্যেই দুই দুইবার ইডির পক্ষ থেকে তলব করার পরেও যখন অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, তখন অবশেষে আজ নিজেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে হাজিরা দিলেন। কিছুক্ষণ আগেই ইডির দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।
বলা বাহুল্য, প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে এর আগেও রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে তলব করা হয়েছিল। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তার বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালিয়েছিল। দুইবার নোটিশ পাঠানোর পরেও তিনি হাজিরা দেননি বলেই খবর। তবে অবশেষে আজ সকাল সাড়ে দশটার সময় ইডি দপ্তরে পৌঁছে যান রাজ্যের এই মন্ত্রী। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি আজ আবার বড় কোনো অঘটন ঘটতে পারে রাজ্যে? এমনিতেই তো সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ইডির জেরায় কি উঠে আসতে পারে বড় কোনো তথ্য? আর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কি হতে পারে কড়া পদক্ষেপ? স্বাভাবিকভাবেই ইডি দপ্তরে যাওয়ার পর মন্ত্রীকে কতক্ষণ জেরা করা হয় এবং শেষপর্যন্ত তিনি কখন বেরিয়ে আসেন, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।