প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি ভোটার তালিকায় কারচুপির ঘটনায় রাজ্যের চার অফিসারকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এমনকি এই চারজন সহ আরও একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, এদের সকলের বিরুদ্ধে যাতে এফআইআর করা হয়, তার জন্য রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে যখন নির্বাচন ঘোষণা হয়নি, তখন রাজ্যের ব্যাপারে এইভাবে কমিশন নাক গলাতে পারে না বলে গতকাল কমিশনের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ নেত্রীর সুরেই সুর মিলিয়ে দিল্লি যাওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ার নিয়েই আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিলেন লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে একাধিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যেভাবে রাজ্যের পাঁচ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যসচিবকে, তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি কমিশনের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক যে কায়দায় গতকাল কমিশনকে আক্রমণ করেছেন, ঠিক সেই একই কায়দা ধরে কমিশনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই এক্তিয়ার কমিশনের নেই। তারা রাজ্যকে জানাতে পারে। কিন্তু রাজ্যের নির্বাচিত সরকার, ১২ কোটি মানুষ যে সরকারকে নির্বাচিত করেছে, তারা কি করবে, কি না করবে, তা নিয়ে একমাত্র মানুষের কাছেই জবাব দিতে দায়বদ্ধ রাজ্য সরকার। কোনো দল বা কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয় রাজ্য।”

আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই কথা বলছেন, তখন তাকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে বিজেপি‌। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি এই এক্তিয়ার আছে নির্বাচন কমিশনকে এইভাবে আক্রমণ করার? এই নির্বাচন কমিশন ছিল বলেই তো ভোটে জিতে তারা পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আছে। আজকে নির্বাচন কমিশন গাফিলতি পেয়েছে জন্যেই নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ রাজ্যকে দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সেই নির্দেশ পালন না করে পাল্টা যেভাবে কমিশনকে আক্রমণ করছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাই কমিশনকে আক্রমণ না করে নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে কমিশনের যে পদক্ষেপ, তাতে সহযোগিতা করা উচিত অভিষেকবাবু এবং তার দলের বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা।