প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ও বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। যদিও বা তাদের এই অভিযোগের কতটা গ্রহণযোগ্যতা আছে, তা নিয়ে বারবার করে প্রশ্ন উঠছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল বুঝতে পারছে যে, বাংলায় এসআইআর হবে এবং সেই এসআইআর হলে প্রচুর রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশ কারীদের নাম বাদ যাবে। আর তাই বাংলা ও বাঙালি ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধীতার রাস্তা বেছে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব বলেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। আজও সংসদের বাইরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাংলা ও বাঙালিকে অপমানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই কর্মসূচিতে গতকালের মত আজও অনুপস্থিত ছিলেন সম্প্রতি তৃণমূলের চিফ হুইপ পদ থেকে পদত্যাগ করা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বস্তুত, গতকালের মত আজও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত সাংসদরা বাংলা ও বাঙালিকে হেনস্থার প্রতিবাদে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যেখানে বাংলা ও বাঙালির অপমান মানছি না, মানব না বলে স্লোগান তোলেন তারা। কিন্তু এতদিন বিজেপি বিরোধীতার ক্ষেত্রে যে কোনো কর্মসূচিতে সবার আগে উচ্চস্বরে স্লোগান তুলতে দেখা যেত তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূলের ভার্চুয়াল বৈঠকে দলীয় গন্ডগোলের জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধমক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে খবর। আর তারপরেই চিফ হুইপ পদ থেকে পদত্যাগ করে শুধুমাত্র সাংসদ হিসেবে যতটুকু করার, ততটুকু করেই নিজের পেশা আইনজগতে বেশি সময় দিচ্ছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেভাবে আর সংসদে দলের হয়ে উচ্চস্বরে বিজেপি বিরোধীতায় দেখা যাচ্ছে না তাকে। আর আজও সেই ছবি অব্যাহত থাকতে দেখা গেল।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অনুপস্থিতি নিয়েই পাল্টা ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না পদ্ম শিবির। বিজেপির ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় তো এখনও তৃণমূলের সাংসদ। তিনি কেন আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত নেই? আসলে তৃণমূল দলের যারা বাংলা বাঙালি ইস্যুকে সামনে রেখে ময়দানে নেমেছে। তারা নিজেরাই জানে না, তারা কেন চেঁচামেচি করছে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, তাই স্লোগান তুলতে হবে। আর তৃণমূল দলের অভ্যন্তরে যেভাবে ভঙ্গুর দশা তৈরি হয়েছে, তাতে বিজেপি বিরোধিতা করতে গিয়ে নিজেদের সমন্বয়ের অভাবের চিত্রই ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। তাই আগে নিজেদের ঘর সামলাক তৃণমূল। তারপরে বিজেপি বিরোধীতার জন্য বাংলা ও বাঙালিকে নিয়ে এই নাকে কান্না কাঁদবে বলেই কটাক্ষ বিজেপির।