প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি তৃণমূলের সাংসদদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বৈঠক করেন। আর সেই বৈঠকের পরেই সব দায় তার ওপরেই চাপিয়েছেন, তাই তিনি চিফ হুইপ থেকে পদত্যাগ করছেন বলে জানিয়ে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি পরবর্তীতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেভাবে আগেকার মত বিজেপি বিরোধীতায় তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদদের মত সংসদের বাইরে বিক্ষোভে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই দলের সঙ্গে কি ক্রমশ্য দূরত্ব বাড়াচ্ছেন কল্যাণবাবু, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একসময় যিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার দলনেতা হওয়ার কারণেই কি তিনি অভিমান করে আছেন? নিজের জায়গা না পাওয়ার কারণেই কি তিনি এখন কৌশলে দূরত্ব অবলম্বন করে দলকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়। যদিও বা কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সমস্যার কোনো ব্যাপার নেই। আর এসবের মধ্যেই এবার সেই কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলা বাহুল্য, গত দুইদিন ধরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাংলা ও বাঙালিকে হেনস্তার দাবিতে তৃণমূলের সমস্ত সাংসদরা সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সেখানে দেখা যাচ্ছে না তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বেশি বিজেপি বিরোধীতায় ভোকাল ছিলেন, তার অনুপস্থিতি দলের অনেকেরই চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে অবশেষে সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় একান্তে বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, তাহলে কি সমস্যা মেটার পথে?

এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কল্যাণবাবুর এই একান্তে বৈঠকের পরেই কল্যাণবাবু জানিয়ে দিয়েছেন যে, সদর্থক আলোচনা হয়েছে। তবে কতটা সদর্থক আলোচনা হলো, তা অবশ্যই প্রশ্নের বিষয়। কেননা কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় যতটা অভিমানী হয়েছেন, এর আগে এরকম তাকে দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই এখন তিনি রাজনীতির থেকে বেশি আইনজগতে সময় দিচ্ছেন। একথা তিনি নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই যখন বিজেপি বিরোধীতায় তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে, তখন সব থেকে বেশি বিজেপি বিরোধীতার জন্য সোচ্চার হওয়া কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান, তাহলে যে আখেরে তৃণমূলের ক্ষতি, তা বুঝতে পেরেই তার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই বৈঠকে সমস্যা মিটলো, নাকি অধরাই থেকে গেল, তার উত্তর ভবিষ্যতই দেবে।