প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভোটার তালিকায় সংশোধনী নিয়ে অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছে। তারা বুঝতে পারছে যে, ভোটার তালিকায় সংশোধনী শুরু হলে মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটার এবং রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে। আর তাহলে সবথেকে বেশি চাপে পড়বে এই রাজ্যের শাসক দল। তাই এখন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন বলেই অভিযোগ বিজেপির। তবে এবার শুধু আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, দলনেত্রীর পথেই হেঁটে আরও একধাপ এগিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে অলআউট আক্রমণে নেমেছেন। তার বিভিন্ন বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এভাবে নির্বাচন কমিশনকে তিনি আক্রমণ করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন। আর তার মধ্যেই আজ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেই নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যের পরেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন যে, একজন সাংসদ কি করে এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্তব্য করতে পারেন?
এদিন দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাওয়ের হুমকি দেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা হ্যাঁ স্যার বলে নির্বাচন কমিশনকে বিক্রি করে দিয়েছে, আমরা তাদের সতর্ক করছি। যদি ভোটার তালিকা থেকে কোনো বাঙালির নাম বাদ যায়, এক লক্ষ বাঙ্গালি নিয়ে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করব।” আর এখানেই বিজেপির প্রশ্ন, অবিলম্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি কোন বাঙালির স্বার্থ রক্ষার কথা বলছেন? যারা প্রকৃত বাঙালি, যারা রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী নয়, তাদের কারওর নাম বাদ যাবে না। আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল বুঝতে পেরেছেন যে, এতদিন যাদের ভোট নিয়ে যাদের ভোটব্যাংক হিসেবে তারা ব্যবহার করেছেন, সেই সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম ভোটার তালিকা সংশোধনী শুরু হলে খুব সহজেই বাদ যাবে। তাই নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচানোর জন্য সেই সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের বাঙালি বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। তবে এই সমস্ত হুমকি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করার যে প্রক্রিয়া, তাকে আটকানো যাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।