প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল সংসদ ভবনের বাইরে থেকে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইন্ডি জোটের। যেখানে সামিল হয়েছিলেন তৃণমূলের বেশ কিছু সাংসদ। তবে তারা যেভাবে জ্ঞান হারিয়েছিলেন বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সেই দৃশ্য সামনে আসার পর অনেকেই তা নিয়ে কটাক্ষ করছেন, প্রশ্ন তুলছেন, মিমও তৈরি করতে শুরু করেছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে, যারা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছেন, তারা সকলেই এই ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের নাম বাদ যাওয়ার ভয়েই এই বিক্ষোভ করছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে এবার ক্ষমতায় থাকবে না। কারণ ভোটার তালিকায় সংশোধনী হলে রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী, মৃত ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর তাতেই তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত জন্যেই তৃণমূল সাংসদরা দিল্লিতে এত বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। তবে এসবের মধ্যেই আজ ফের সংসদের বাইরে বাংলার প্রতি অপমানের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সাংসদরা।
বলা বাহুল্য, গতকালের পর আজও তৃণমূলের সাংসদরা সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যেখানে বাংলায় লেখা ব্যানার হাতে নিয়ে তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংসদরা স্লোগান তোলেন। “জাতীয় সংগীতের অপমান মানছি না মানব না” “বাংলার ওপর অপমান মানছি না, মানব না” এইরকম স্লোগান তুলতে দেখা যায় মালা রায়, দোলা সেন, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সাংসদদের। আর তৃণমূলের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির হতে দেখা গিয়েছিল জয়া বচ্চনকেও। তিনিও তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে স্লোগান তুলতে শুরু করেন।
তবে তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের বক্তব্য, যারা বাংলাকে শেষ করে দিয়েছে, যারা বাংলার দুর্নীতি, স্বজনপোষণ অত্যাচার করে বাংলাকে কলঙ্কিত করেছে, তাদের মুখে বাংলা নিয়ে এই সমস্ত কথা মানায় না। তৃণমূলের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গিয়েছে। তাই এখন আতঙ্কিত হয়ে দিল্লিতে এসে তৃণমূল সাংসদরা নজর ঘোরাতে এই সমস্ত বিক্ষোভ করছেন। তবে বাংলার মানুষ ২০২৬ এর নির্বাচনের তৃণমূলকে বাংলা থেকে বিসর্জন দেবে। আর তারপর শুধু বিক্ষোভ করেই টিকে থাকতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই খোঁচা গেরুয়া শিবিরের।