প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনী বিল সংসদে আনা হয়েছে। প্রথম থেকেই এর বিরোধীতা করতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও এই বিলের বিরোধিতা করে বলা হচ্ছে যে, বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা দখল করতেই এবং সেখানকার সরকার ফেলে দিতেই বিজেপি এই বিল আনার চেষ্টা করছে। তবে বিলে যে কথা বলা হয়েছে, তাতে ৩০ দিনের বেশি যদি কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রীড় এমনকি কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী হেফাজতে থাকে, তাহলে তাকে পদ থেকে সরে যেতে হবে অথবা তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আইন যখন সকলের জন্য এক, তখন তৃণমূল কেন এত বিরোধীতা করছে! তাহলে কি তাদের মনের মধ্যেই সবথেকে বেশি ভয় রয়েছে? যেহেতু তারা দুর্নীতি করছে, তাই তারা এই বিল আইনে পরিণত হলে ক্ষমতা থেকে সরে যাবে! আর সেই কারণেই কি তৃণমূলের এই কট্টর বিরোধিতা! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর সেই বিষয় তুলে ধরেই বাংলার শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা সংবিধান সংশোধনী বিলের প্রকট বিরোধিতা শুরু করে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যেই এই বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি এই বিলের বিরোধিতায় তৃণমূল চিৎকার করছে বলে দাবি করছেন সুকান্তবাবু। তিনি তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস সব থেকে বেশি দুর্নীতিতে জড়িত জন্যই তারা এই বিল আইনে পরিণত হয়ে গেলে ফেঁসে যাবে জন্যেই এখন এত বিরোধিতা করছে।

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, “এই আইন তো সকলের জন্য। এটা তো প্রধানমন্ত্রীর জন্য, মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও। আমি বুঝতে পারছি না, তৃণমূল থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলো এতে হতাশ কেন? তারা কি ভাবছে যে, সারা জীবন বিজেপিরই প্রধানমন্ত্রী থাকবে? তবে আমি বুঝতে পারছি, তৃণমূল কংগ্রেসের ভয়ের কারণ আছে। অন্যান্য বিরোধীরা অত চিৎকার চেঁচামেচি করবে না। কারণ তৃণমূল যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে, ওই পরিমাণ দুর্নীতির জন্য তো তৃণমূলের সব নেতাদেরই তো জেলের ভেতরে থাকার কথা এবং জেলের ভেতরেই ক্যাবিনেট বসবে এরকম একটা পরিকল্পনা ছিল বলে আমার মনে হয় তবে এই আইন পাস হয়ে গেলে আর তেমনটা হবে না। কারণ ক্যাবিনেটে কেউ থাকতে পারবে না।”