প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ কৌশিকী অমাবস্যা। প্রচুর মানুষ তারাপীঠে ভিড় জমাচ্ছেন। আজকের দিনের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ভিড় হয় সেই তারাপীঠ মন্দিরে। আর এইরকমই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে আজ রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই দমদমের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার মাঠে বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য নেতারা তাকে সংবর্ধিত করতে শুরু করেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে সমস্ত উপহার তুলে দেওয়া হয়, তার মধ্যেও ছিল ইঙ্গিতবাহী বার্তা। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী যে উপহার প্রধানমন্ত্রী হাতে তুলে দিলেন, সেখানে একদিকে যেমন শিল্প সম্ভাবনার বিষয়টি উঠে এলো, ঠিক তেমনই আজকের দিনের গুরুত্ব অনুধাবন করে ধর্মরক্ষার বিষয়টিও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, এদিন দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মাঠে বিজেপির সভায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমেই তাঁর হাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সত্যজিৎ রায়ের একটি ছবি তুলে দেন। আর তারপরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে জুটের তৈরি মা তারার একটি ছবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এখন অনেকেই এই বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিতেই পারেন। কিন্তু অনেকেই আবার এর পেছনে অন্য কারণ খুঁজতে শুরু করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ বলছেন, এই রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা নেই, এই রাজ্যে তৃণমূল সরকার জুট শিল্পকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করে বিরোধীরা। তাই সেদিক থেকে জুটের তৈরি মা তারার মূর্তি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়ে রাজ্যের শিল্পের সম্ভাবনাকে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে আরও বৃদ্ধি পাবে, এমনটাই হয়তো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি আজ কৌশিকী অমাবস্যা। এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মাঝেমধ্যেই দাবি করছেন যে, রাজ্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। তৃণমূল সরকারের আমলে হিন্দুরা নিরাপদ নয়। তারা পুজার্চনা করতে পারছে না, বেছে বেছে মন্দিরে হামলা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কৌশিকী অমাবস্যায় যেদিন মা তারার আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য বহু পুণ্যার্থী তারাপীঠে রয়েছেন, ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেই জুটের তৈরি মা তারার মূর্তি দিয়ে বাংলার সনাতনী ধর্ম এবং মাতৃশক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।