প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসকদল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝেমধ্যেই দাবি করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাকি রাজ্যকে বঞ্চিত করা হচ্ছে! তবে এবার পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে তৃণমূলের সেই মুখোশ খুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতদিন বিজেপির নেতারা দাবি করতেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের নেতারা মিথ্যে কথা বলছেন। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে টাকা পাঠালেও, তার সবটাই চুরি করে নিচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছচ্ছে না। আর এবার দমদমের সভা থেকে সেই কথা তুলে ধরেই পার্শ্ববর্তী রাজ্যের তুলনা টেনে এনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কি করে সুশাসন দিতে হয়, তা দেখিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বলা বাহুল্য, এদিন দমদমে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মাঠে বিজেপির সভায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিরোধীতার সুর বেঁধে দেন তিনি। স্পষ্ট করে দেন যে, এবার একটাই লক্ষ্য বাংলায় তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত করা। এক্ষেত্রে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় এলেই বাংলায় উন্নয়ন যে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে, তার সমস্ত রাস্তা খুলে যাবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে সব থেকে বেশি কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না যে যুক্তি খাড়া করা হয়, তাকেও খন্ডন করে দেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার জন্য যে টাকা আমরা সরাসরি রাজ্য সরকারকে পাঠাই, তার বেশিরভাগটাই লুট হয়ে যায়। আপনাদের জন্য খরচ হয় না। তৃণমূলের ক্যাডারের জন্য খরচ হয়। এই জন্য জনকল্যানে পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। আগে ত্রিপুরা, আসামেও এই হাল ছিল। যবে থেকে বিজেপি সরকার এসেছে, গরিব কল্যান যোজনার লাভ ওই দুই রাজ্যে পাচ্ছে।” অর্থাৎ ত্রিপুরা এবং আসামেও আগে মানুষের টাকা লুট করা হত বলেই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানকার সাধারণ মানুষ কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় উপকৃত হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গেও যদি বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে, তাহলে তৃণমূলের এই লুটের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী।