প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
একেই হয়তো বলে, ঠেলার নাম বাবাজি। আজ তৃণমূল খুব ভালোমতই বুঝতে পেরেছে যে, রাজ্যটা তাদের সম্পত্তি নয়। এখানে যা খুশি, তাই করা যায় না। তারা ক্ষমতায় আছে বলে যেভাবে খুশি পুলিশকে ব্যবহার করে, যেখানে খুশি মিটিং, মিছিল নিজেদের ইচ্ছেমতো করতে শুরু করেছিল। তবে আজ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তৃণমূলকে মোক্ষম টাইট দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ। যেখানে গান্ধী মূর্তির পাশে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাংলা ভাষার প্রতি আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রত্যেক সপ্তাহের শনি এবং রবিবার ধর্না কর্মসূচি করা হচ্ছিল। তবে আজ সেই কর্মসূচির অনুমতি পেরিয়ে যাওয়ার ফলে মঞ্চ খুলে নেওয়ার কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। আর তারপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সকলেই যতটুকু চেনেন যে, তিনি একটুকু ফাঁক পেলে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে ছাড়েন না। অনেক ক্ষেত্রে রাস্তায় বসে পড়েও আন্দোলন করেন। তাই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাবাহিনী মঞ্চ খুলে নিচ্ছে, আর তিনি নিজেদের ত্রুটি না থাকা সত্ত্বেও সেই এলাকা ছেড়ে অন্য কোনো জায়গায় কর্মসূচি সরিয়ে নেবেন, এমনটা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। যার ফলে একাংশ বলছেন যে, ঠ্যালায় পড়েই শেষ পর্যন্ত এই কর্মসূচি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলা বাহুল্য, এদিন মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ খুলতে শুরু করে সেনাবাহিনী। আর সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় পৌঁছে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে, এখন থেকে আর এইখানে নয়, রানী রাসমণি রোডে তৃণমূলের এই কর্মসূচি হবে। শুধু তাই নয়, এতদিন সপ্তাহের দুই দিন এই কর্মসূচি হলেও, এবার থেকে তা আরও জোরালো হবে। প্রত্যেকদিন রানী রাসমণি রোডে তৃণমূলের এই কর্মসূচি চলবে চলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মেয়ো রোড থেকে সেনাবাহিনী মঞ্চ খুলে নেওয়ার পর অন্য কোথাও কর্মসূচি করার ঘোষণা করছেন, তাতে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট যে, তিনি ঠেলায় পড়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, এই পশ্চিমবঙ্গকে তিনি যেভাবে পরিচালিত করছেন, তাতে সব জায়গায় মামাবাড়ির আবদার চলবে না। সব জায়গায় তৃণমূলের দাদাগিরি চলবে না। তাই সেনাবাহিনী নিজেদের দায়িত্ব, কর্তব্য অনুসারেই নিজেদের যুক্তিতে ঠিক থেকে সেই মঞ্চ খোলার কাজ করেছে। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিম্মত থাকত, তাহলে তিনি সেখানেই প্রোগ্রাম করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, সেখানে প্রোগ্রাম করার ঘোষণা করলে তিনি আরও চাপে পড়ে যেতে পারেন। তাই শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে প্রোগ্রাম সরিয়ে অন্য কোথাও প্রোগ্রাম করার ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন তৃণমূল নেত্রী বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।