প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিধানসভায় যে সমস্ত নিয়ম চলে, তা শুধুমাত্র বিরোধীদের জন্য। তৃণমূলের ক্ষেত্রে সেই সমস্ত নিয়মে ছাড় দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির যে সমস্ত বিধায়করা রয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তার রক্ষী হিসেবে যে কেন্দ্রীয় বাহিনীরা ছিলেন, তাদের বিধানসভার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হত না। তবে আদালতে গিয়ে আইন সকলের জন্যই এক হওয়া উচিত এবং এক্ষেত্রে যদি বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তারক্ষী বাইরে রাখতে হয়, তাহলে তৃণমূলের বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রীদেরও নিরাপত্তারক্ষী বাইরে রাখা উচিত বলে পাল্টা যুক্তি দিতে শুরু করেছিল বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই আদালতের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ আসতেই রীতিমত বিজেপিকে টাইট দিতে গিয়ে উল্টো চাপে পড়ে গেল তৃণমূল।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই আদালতের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ এসেছে। যেখানে বিধানসভার ভেতরে কোনোরুপ সদস্য এবং মন্ত্রীরা তাদের নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে ঢুকতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী এতদিন বিজেপি বিধায়কদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম করা হয়েছিল, তার প্রতিবাদ করে আদালতে গিয়েছিলেন। আর তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের পক্ষ থেকে এবার আইন যে সকলের জন্য সমান, তা নির্দেশ দিতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এখন থেকে তৃণমূলের মন্ত্রীরাও নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, বিধানসভার সচিবের পক্ষ থেকেও মূল গেটে নির্দেশিকা হিসেবে স্পষ্ট ভাষায় লিখে দেওয়া হয়েছে, বিধানসভার কোনো সদস্য এবং মন্ত্রীরা নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মূল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।

আর এই ঘটনার পরেই রীতিমতো উচ্ছ্বসিত বিজেপি। তাদের বক্তব্য, আইন তো সকলের জন্যই সমান হওয়া উচিত। আদালতের নির্দেশের পরেই ঠেলায় পড়ে বিধানসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বিগত চার বছর চার মাস ধরে বেছে বেছে বিজেপির বিধায়কদের নিরাপত্তার একটি ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তবে এবার আদালতের নির্দেশের পর তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়কদেরও নিরাপত্তা রক্ষীরা ভেতরে ঢুকতে পারবে না। এই রাজ্যে তৃণমূলের জন্য এক আইন, আর বিরোধীদের জন্য এক আইন যে হবে না, আইন হলে যে সেটা সকলের জন্যই সমান হবে, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। তাই বিজেপি বিধায়কদের চাপে রাখতে গিয়ে তৃণমূলই উল্টো চাপের মুখে পড়ে গেল বলেই মত রাজনৈতিক সমালোচকদের।