প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে দুর্নীতি এবং চুরির বিষয়ে উঠলেই তৃণমূলকে আক্রমণ করতে শুরু করে বিরোধীরা। বামফ্রন্ট থেকে শুরু করে বিজেপি, প্রত্যেকেই বর্তমান রাজ্যের শাসক দলকে চোর বলে আখ্যায়িত করে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূলের অনেক নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীকে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। আর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে যখন তৃণমূল এবং চোর সমার্থক হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা, ঠিক তখনই এক অন্য দৃশ্য দেখা গেল বাংলার রাজনীতিতে।
সূত্রের খবর, ভুয়ো বিল দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগে এবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান টগরী ঘোষকে। জানা গিয়েছে, তিনি তেহট্টের কানাইপুর পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছিল। আর এবার বিডিওর পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হতেই সেই পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনা সামনে আসার পরেই যে সিপিএম এখন তৃণমূলকে “চোর, চোর” বলে কটাক্ষ করছে এবং নিজেদের সততা নিয়ে জাহির করার চেষ্টা করছে, তারাই রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিপিএম নেতারা এখন রাজ্যে এবং দেশে যে কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটলেই ফলাও করে বলার চেষ্টা করেন যে, ৩৪ বছর তারা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু তাদের কোনো নেতা দুর্নীতির জন্য জেলে যায়নি। তবে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরেও যে তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তা তো তাদের দলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের এই কুকীর্তি সামনে আসার পরেই স্পষ্ট হয়ে গেল। স্বাভাবিকভাবে সিপিএমের এই সৎ সাজার যে নাটক, তার পর্দা যেমন ফাঁস হয়ে গেল, ঠিক তেমনই চরম বিড়ম্বনার মুখে পড়ে গেল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।