প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বারবার রাজ্যে সরকারের পরিবর্তন হয়। ক্ষমতায় আসার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিশ্রুতি দেয় যে, ক্ষমতায় এলেই বন্যার সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকেও বহু প্রতিশ্রুতি এসেছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরেও বন্যায় ভেসেছে ঘাটাল, আরামবাগ, খানাকুল সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এলাকাবাসীর মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, কবে মিটবে এই সমস্যা? কবে তারা বন্যা যন্ত্রণা থেকে, জল যন্ত্রণা থেকে একদম চিরতরে মুক্তি পাবেন? এতদিন বামফ্রন্ট থেকে শুরু করে তৃণমূল, সবাইকেই তারা প্রত্যক্ষ করেছেন। কেউ তাদের মনের কথা উপলব্ধি করেনি এবং আসল কাজ করতে পারেনি। তাই সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে যে বিজেপি দলকে তারা পরখ করেনি, এবার সেই বিজেপি দলের ওপরই ভরসা রাখার বার্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই বন্যা সমস্যাকে চিরতরে মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, গতকাল আরামবাগের খানাকুলে পরিবর্তন সংকল্প যাত্রায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরামবাগ, খানাকুল ঘাটাল সহ এই তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষের একটাই দুঃখ যে, প্রত্যেক বছর বন্যা হলেই বর্ষার সময় তাদের জলে ডুবতে হয়, বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় ত্রাণ শিবিরে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু কখনই তার বাস্তবায়ন লক্ষ্য করা যায় না। তাই তারা কাদের ওপর ভরসা করবেন! আর সেই সমস্ত মানুষদের মনের কথা উপলব্ধি করে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন যে, বিজেপিকে তো তারা এখনও পর্যন্ত ক্ষমতায় আনেননি। তাই এবার অন্তত বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন। বিজেপি ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের জল সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বন্যাকে কি করে একেবারে মিটিয়ে দেওয়া যায়, তার সব রকম চেষ্টা করবে।

এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়েছি। ৭৭ টা আসন পেয়েছিলাম। এবার আপনারা ১৪৮ টা আসন দিন। কথা দিয়ে যাচ্ছি, ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে কি করে এই এলাকা থেকে বন্যা নামক সমস্যা কি চিরতরে মিটিয়ে ফেলা যায়, তার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করব। আমি বিরোধী দলনেতা, আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৬ এর নির্বাচনে এই এলাকার মানুষকেই একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এতদিন তারা বামফ্রন্টকে দেখেছেন, তৃণমূলকে দেখেছেন। তাই একবার বিজেপিকে পরখ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী যখন কথা দিয়ে যাচ্ছেন, যখন কেন্দ্রীয় সরকারেও বিজেপি রয়েছে, যদি রাজ্যেও বিজেপি আসে, তাহলে হয়ত পরিস্থিতির কিছুটা হলেও পরিবর্তন হতে পারে। তাই মানুষের ওপরেই এখন সবটাই নির্ভর করছে। জনতা যদি মনে করে যে, বন্যা যন্ত্রনা থেকে তাদের মুক্তি পাওয়া প্রয়োজন, কারণ এতদিন তারা যে দল, যে সরকারের ওপর ভরসা রেখেছিল, তারা তার সমস্যা মেটাতে পারেনি। তাই বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলে তারা সমস্যা মেটাতে পারে কিনা, সেই জন্য অন্তত ভারতীয় জনতা পার্টিকে ২০২৬ এর নির্বাচনে এই এলাকার মানুষকে আরও ব্যাপকভাবে সমর্থন জানাতে হবে বলেই মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।