প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে তুলকালাম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় বিরোধীদের তরফে প্রতিবাদ শুরু হয়। আর সেই প্রতিবাদ সহ্য করতে না পেরে বিজেপির একের পর এক বিধায়ককে সাসপেন্ড করতে শুরু করেন স্পিকার। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে বিধানসভা থেকে বের করা হয়। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তাকে বর্তমানে এ
অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সময় অধিবেশনের ভেতরে বক্তব্য রাখা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে এবার পাল্টা গর্জে উঠলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, এদিন অসুস্থ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সময়ই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আজকের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে “চোর” বলে সম্বোধন করেছেন, তা নিয়ে গর্জে ওঠেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, “বিধানসভার ভেতরে তিনি নরেন্দ্র মোদীকে চোর বলছেন! প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলছেন! উনি নিজে সবথেকে বড় চোর। নিজে স্বীকার করেছে, ১৮০৬ জনকে চাকরি দিয়েছে, অবৈধভাবে। চাকরি চোর, গদি ছোড়।”

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত। আর সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই আজকে বিধানসভার ভেতরেও বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থা হতে হচ্ছে। সেই কারণেই শঙ্কর ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী নিজে সততার প্রতীক সেজে প্রধানমন্ত্রীকে “চোর” বলে সম্বোধন করছেন। রাজ্য বিধানসভায় একজন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যে মুখ্যমন্ত্রীর আমলে এসএসসি নিজেরাই স্বীকার করে যে, অবৈধভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে, সেই মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সরকার যে সব থেকে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত, এটা গোটা রাজ্যবাসী জানে। আর সেই কারণেই বিষয়টিকে ঘোরানোর জন্য আজকে প্রধানমন্ত্রীকে বিধানসভার অধিবেশনে “চোর” বলে গণতন্ত্রকে কালিমালিপ্ত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।