প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ রাজ্য বিধানসভায় হুলস্থুল কান্ড বেঁধে যায়। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় থেকেই প্রতিবাদ শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। সাসপেন্ড হতে হয় চারজন বিজেপি বিধায়ককে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ থামেনি। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি বিধায়করা তুমুল স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর তার মাঝেই এক বিজেপি বিধায়ককে রীতিমত ভরা অধিবেশনে আক্রমণ করে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, আজ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই বিজেপিও প্রস্তুত ছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় তারা বিক্ষোভ দেখাবেন। সেই মত তারা তাদের কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন। ক্রমাগত উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি। যেখানে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড হতে হয়। পরবর্তীতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর এসবের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন বিজেপির বিক্ষোভ আরও চরম আকার ধারণ করে। আর তারপরেই রীতিমত মেজাজ হারিয়ে এক বিজেপি বিধায়ককে আক্রমণ করে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির এক বিধায়কের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই তুমি আর কথা বলো না। তুমি তৃণমূল করতে তাপস, তুমি তৃণমূল করতে। তোমার লজ্জা থাকা উচিত। অনেক গোনাগুনি হয়নি। টাকার ব্যাপার ছিল।” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন যে, তৃণমূল দলে টাকার খেলা চলে! বিজেপির এই বিধায়ককে তিনি বললেন, টাকার গোণাগুনি হয়নি, তাই তিনি দলবদল করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী তো এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিজেপি বিধায়ককে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজেই সকলের কাছে হাসির পাত্র হয়ে গেলেন এবং এর ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তৃণমূল মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।