প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ রাজ্য বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমত মেজাজ হারিয়েছেন। বিরোধীরা যে সমবেত প্রতিবাদ করেছে, তা তিনি সহ্য করতে পারেননি। তিনি ভাবতেও পারেননি যে, বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় সাসপেন্ড থাকলেও বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা এত প্রতিবাদী হয়ে উঠবেন। তাই বক্তব্যের মাঝে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীকেও আক্রমণ করে বসেছেন। এমনকি মোদী, যে শব্দটি অনেকের পদবী, সেই শব্দ তুলে ধরে “মোদী চোর” বলেও ভরা বিধানসভায় আক্রমণ করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্য নিয়েই রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরেই এবার‌ গোটা দেশজুড়ে “মোদী চোর” বলার কারণে যে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদ হতে পারে, সেই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সাথে সাথেই বিরোধীরা তাদের প্রতিবাদ শুরু করতে শুরু করেন। যার পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী “মোদী চোর” বলে একটি মন্তব্য করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীও জানিয়ে দেন যে, মুখ্যমন্ত্রী “মোদী চোর, বলে “মোদী” নামক পদবী যাদের রয়েছে, তাদের সকলকে অপমান করেছেন। তাই এর বিরুদ্ধে সকলে গর্জে উঠবেন বলেই জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মোদী একটি পদবী। এই মোদী পদবীর লোকেরা গোটা পৃথিবীতে আছে। গুজরাটে বেশি সংখ্যায় আছে। পশ্চিমবঙ্গেও আছে। আজকে তাদেরকে মোদী চোর বলা হয়েছে। মোদী চোর বলতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর মেম্বারশিপ গিয়েছিল, আপনারা জানেন। আমি মোদী পদবীর যারা আছেন, তাদেরকে বলব, মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে যাতে এফআইআর করে এবং তার বিরুদ্ধে যাতে লড়াই করে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকার একদম উপযুক্ত জায়গায় আঘাত এনেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে “মোদী চোর” বলে যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তাতে তিনি “মোদী” পদবী যাদের আছে, তাদের ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে দিলেন তিনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সমস্ত মোদী পদবীর লোকেদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপমান করেছেন বলে দাবি করলেন। যার ফলে জনতার ক্ষোভ যদি এবার বৃদ্ধি হতে শুরু করে এবং শুভেন্দু অধিকারীর কথা মত যদি “মোদী” পদবীর মানুষরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন, তাহলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চরম গাড্ডার মুখে পড়ে যাবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।