প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনেক জায়গাতেই বলেন যে, তার কাছে প্রত্যেকটি সেকেন্ডের সেকেন্ডের খবর থাকে। কোথায় কি হচ্ছে, তার সবটাই তিনি জানেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি যখন জানেন, তখন তার ঘনিষ্ঠরাও সব খবর জানবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কে জানে, কলকাতা পৌরসভার মেয়র কলকাতায় কি ঘটে যাচ্ছে, তার পৌরসভার মধ্যে কি ঘটে যাচ্ছে, তার বিন্দু বিসর্গ জানেন না! অথচ জানেন, নাকি জানলে মুখ খুলতে হবে, আর মুখ খুললে বিতর্কের মুখে পড়তে হবে, সেই জন্য জেনেও না জানার ভান করেন? প্রশ্নটা উঠছে, তার কারণ, গুলশান কলোনি নিয়ে গতকাল থেকে টিভির পর্দায় সারাদিন চর্চা হয়েছে। আর দিনের শেষে সেই গুলশান কলোনি সম্পর্কে প্রশ্ন করার পরে কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী যে মন্তব্য করলেন, তাতে সকলেই হতবাক।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশান কলোনি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রথমে ভর সন্ধ্যায় গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তারপর আবার রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই টিভির পর্দা থেকে শুরু করে খবরের কাগজ, সব জায়গায় এই গুলশান কলোনি নিয়ে চর্চা চলছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এর কোনো কিছুই নাকি জানেন না কলকাতার মেয়র ববি হাকিম! তাকে সাংবাদিকরা গতকাল প্রশ্ন করেছিল। আর তিনি নিজের হতভাক মনোভাব ব্যক্ত করে বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি এর কিছুই জানেন না। খোঁজ নিয়ে তাকে বলতে হবে।
আর এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন যে, জানেন না, নাকি জেনেও না জানার ভান করছেন? কারণ এই ব্যাপারে মুখ খুলতে গেলে তো ব্যর্থতার দায় তার দিকে এবং তার সরকার ও প্রশাসনের দিকেই পড়বে। বারবার করে এই গুলশান কলোনি উত্তপ্ত হয়েছে কাদের জন্য? কাদের জন্য এই এলাকা সমাজবিরোধীদের আতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে, তা সকলেই জানে। ফলে এই ব্যাপারে মুখ খোলা যে ভীষণ দায়, তাই এক বাক্যে তিনি কিছু জানেন না, এটা বলে দিলেই ভালো হয়। সেজন্যই হয়ত এমন মন্তব্য করলেন ববি হাকিম। অনেকে আবার বলছেন, তিনি এত বড় মাপের রাজনীতিবিদ, অথচ টিভির পর্দায় নজর রাখেন না? ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন না! তার কাছে পৌরসভার মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটে গেলেও, খবর আসে না! তাহলে তিনি কেমন মেয়র? অবিলম্বে তো তার পদত্যাগ করা উচিত। এত ব্যর্থ মেয়র কলকাতা এর আগে দেখেছে কিনা, সেটা অবশ্যই একটা বড় প্রশ্নের বিষয়। কেননা ঘটনা ঘটার এত ঘন্টা পরেও যখন মেয়র এত বড় স্পর্শকাতর বিষয়ে খবর পান না, তখন বুঝতে হবে যে, তিনি এই পদের জন্য মোটেই উপযুক্ত নন। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।