প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই পথ দেখাতে শুরু করেছে নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তারপর সেই নন্দীগ্রাম বা পূর্ব মেদিনীপুরে একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় সামনে এসেছে। যতই চেষ্টা করুক তৃণমূল কিংবা তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারা কোনোমতেই শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপিকে পরাজিত করতে পারেনি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুবাবু দাবি করছেন যে, গোটা রাজ্যজুড়েই এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম মডেল কাজ করবে। আর তার মাঝেই ফের ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই নন্দীগ্রামে বিজেপির কাছে গোহারা হেরে গেল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপির আরও একটি বড় জয় সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই জয়ের ব্যাপারে বিজেপির প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের মনুচক সমবায় নির্বাচনে ৯ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্যদিকে ৩ টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই জয়ের পরেই রীতিমত গেরুয়া আবিরে সেলিব্রেশনে মেতেছেন পদ্ম শিবিরের কর্মী সমর্থকরা।

বিজেপির দাবি, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে মেদিনীপুর মডেল কাজ করবে। একসময় বাম সরকারকে উৎখাত করার ক্ষেত্রে এই মেদিনীপুর পথ দেখিয়েছিল। আর এবার এই অত্যাচারিত তৃণমূল সরকারের পতন অনিবার্য হবে সেই মেদিনীপুর থেকেই। বহু সন্ত্রাস এবং অত্যাচার করেও তৃণমূল এখানে ছাপ ফেলতে পারছে না। আগামী ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত আসনেই পদ্ম ফুল ফুটবে এবং গোটা রাজ্য থেকে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।