প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই যাদবপুরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ যে মোটেই শিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়, তা একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি, সকলেই যাদবপুরে সম্প্রতি এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় বাম এবং অতিবাম সংগঠনকে দায়ী করছেন। তবে বিজেপির পাল্টা প্রশ্ন যে, এতই যখন তৃণমূল যাদবপুরে পরিবেশকে শান্ত করতে আগ্রহী, তাহলে তারা কেন সেখানে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না? রাজ্যে যখন তাদের প্রশাসন রয়েছে, কেন তারা যাদবপুরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে শান্ত করতে নিচ্ছে না কড়া পদক্ষেপ! আসলে ভোটের সময় যারা নো ভোট টু বিজেপি করে, তাদেরকে সমর্থন করতেই তৃণমূলের মুখে সমালোচনা, কিন্তু বাস্তবে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেই বলে পাল্টা যুক্তি দিচ্ছে বিজেপি।‌ ইতিমধ্যেই এই যাদবপুরে এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে কাদের কাজ কিছু হবে কিনা, তা নিয়ে সাধারণের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এর আগেও যাদবপুরে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর গোটা ঘটনায় তদন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তা কেউ জানে না। তাই সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একেবারে মনের কথা জানিয়ে দিলেন।

ইতিমধ্যেই যাদবপুরে আরও এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কেন যাদবপুরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ঠিক হচ্ছে না? কেন সেখানে কিছু মানুষের দাদাগিরির জন্য বারবার করে প্রাণ দিতে হচ্ছে নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় যে মামলা দায়ের হয়েছে, তার ফলে অনেকেই আশাবাদী। তবে বেশিরভাগ মানুষই মনে করছেন, এতে লাভের লাভ কিছু হবে না। আর সেই কথাই শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। শুধু তাই নয়, তিনি এটাও বুঝিয়ে দিলেন যে, যাদবপুরে যে সমাজ বিরোধীদের আখড়া তৈরি হয়েছে, শিক্ষার পরিবেশকে যেভাবে নষ্ট করা হচ্ছে, যেভাবে সেখানে একের পর এক ছাত্র ছাত্রীর প্রাণ যাচ্ছে, তাতে এই আবর্জনা একমাত্র সাফ করতে পারে বিজেপি। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই এখানকার পরিবেশ ঠিক করে দেওয়া হবে। যারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়, তাদেরকে টাইট দেওয়ার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেবে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন শুভেন্দুবাবুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, যাদবপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে মামলা হয়েছে, সেই বিষয় নিয়ে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দুদিন পরেই গোটা বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যাবে বলে জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “সব চাপা পড়ে যাবে। রানাঘাটের ছেলেটার কি হয়েছে? আপনারা এই তিন, চারদিন হইচই করেন। তারপর তো সব ভুলে যান। রানাঘাটের ছেলেটা এখনও বিচার পায়নি কেন? একটা দরিদ্র পরিবারের ছেলে। পড়তে এসে ওকে মেরে দিয়ে চলে গেল। ওর বিষয়ে বলেন না কেন? আমি আপনাকে বলছি, বিজেপিকে আনতে হবে ক্ষমতায়। ওখানে প্রচন্ড আবর্জনা হয়েছে এবং সেই আবর্জনা বিষাক্ত। বিষাক্ত আবর্জনাকে পরিষ্কার একমাত্র বিজেপি করতে পারে।”