প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল এমনিতেই তো বিরোধীদের বাইরে কথা বলতে দেয় না। কিন্তু বিধানসভা হচ্ছে গণতন্ত্রের পীঠস্থান। সেখানে অন্তত বিরোধীরা কথা বলবে, তাদের দাবি জানাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বারবার করে বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে যে, এই রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ নিরপেক্ষ নয়। প্রকাশ্যে কেউ দলবদল করছে, সেটা দেখার পরেও তিনি বিধানসভার মধ্যে দাবি করেন যে, সেই ব্যক্তি নাকি দলবদল করেননি! স্বাভাবিক ভাবেই তার বিভিন্ন কাণ্ডকলাপ, বিভিন্ন আচরণ এবং একপেশে মনোভাব নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। আর এবার সেই রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের একটি মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন কথা বলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, যা শুনে সকলেই হাসতে শুরু করেছেন। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই কড়া ভাষায় আক্রমণের পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষকে রীতিমত লজ্জায় ফেলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য বলেই মনে করছেন একাংশ।
এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ সকলেই অবগত আছেন যে, কিছুদিন আগে রাজ্য বিধানসভায় কি হুলুস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল! বিধানসভার ভেতরে বিজেপি বিধায়কদের কথা বলতে না দেওয়া এবং তাদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রীতিমত বিক্ষোভ করেছিলেন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু তারপরেও এই রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের ভূমিকা রীতিমত প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। অধ্যক্ষ নিরপেক্ষ না হয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলেই দাবি করেছিলেন সকলে। আর সেই রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে একটি প্রশ্ন করার পরেই তাকে ব্যাপক খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, স্পিকারের প্রতিভার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী খুব একটা সুবিচার করছেন না। উনি পারলে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ইউনেস্কো বা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ওখানেই পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ ওনার মত প্রতিভা, উনি যেভাবে বিধানসভা পরিচালনা করেছেন, তাতে তো ওই স্তরেই পৌঁছে দেওয়া উচিত। ওনার নোবেল প্রাইজ পাওয়া উচিত। অমর্ত্য সেনের পরে আমাদের একটা গর্ব হবে। আমার মনে হয়, পাওয়া উচিত।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেই বলে মিষ্টি কথায় কড়া আক্রমণ। শমীক ভট্টাচার্য এদিক থেকে অত্যন্ত পারদর্শী। এই রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষকে তিনি যেভাবে মিষ্টি মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আক্রমণ করলেন, তাতে সকলেই হাসতে শুরু করেছেন। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই খোঁচামূলক মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে বাধ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।