প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল দিল্লি থেকে ফিরেই যেন আরও বেশি ঝাঁঝালো অবস্থায় দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এমনিতেই তো তিনি শাসকের বিরুদ্ধে নো কম্প্রোমাইজ ইস্যুতে লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি। তবে আজ সকালেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, কোনো শক্তি নেই মমতা ব্যানার্জিকে ২৬ এর বিধানসভায় ক্ষমতায় রাখে, তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। আর সন্ধ্যায় হলদিয়ায় একের পর এক বিশ্বকর্মা পুজোর উদ্বোধনের মাঝেই সাংবাদিক দের মুখোমুখি হয়ে গোটা রাজ্যই বদলাতে শুরু করবে এবং পরিবর্তনটা ২০২৬ এই হবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আজ সন্ধ্যায় হলদিয়ায় একের পর এক বিশ্বকর্মা পুজোর সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই রকমই একটি পুজো মণ্ডপে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চোখের সামনে কিভাবে বদলে যাচ্ছে সবকিছু, তা তুলে ধরেন তিনি। এমনকি হলদিয়ার মত গোটা বাংলাও এইভাবে ২৬ এর আগেই বদলে যাবে এবং তৃণমূলের বিদায় অবশ্যম্ভাবী বলে নিজের আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, এই রাজ্যে এবার পরিবর্তন হবেই। শুধু তাই নয়, যে টাটাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেছিলেন, সেই টাটাকে এনে বিজেপি শিল্প স্থাপন করবে বলে বিশ্বকর্মা পুজোর সূচনাতেই জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হলদিয়ার বদলটা দেখছেন তো? বদলাচ্ছে, সবাই বদলাবে। ২৬ এ আর থাকবে না। টাটাকে ফেরানোর পক্ষে ভোট হবে। টাটাকে যারা তাড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভোট হবে। টাটাকে ফেরানোর পক্ষে ভোট হবে।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বকর্মা পূজার দিনকে বেছে নিয়ে শিল্পের দেবতার পূজোর আগের দিন রাজ্যের শিল্পের অন্তঃসারশূন্য পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করলেন। বুঝিয়ে দিলেন যে, এই সরকার শিল্পকে ধ্বংস করেছে। তাই এবার বিজেপি ক্ষমতায় এলেই রাজ্য থেকে যে টাটাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই টাটাকে নিয়ে আসবে এবং রাজ্যে প্রকৃত শিল্প হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৬ এর নির্বাচন বিজেপির কাছে অগ্নিপরীক্ষা। এবারে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, তাহলে আর তাদের পক্ষে বাংলার ক্ষমতা দখল করা সম্ভব হবে না। তাই শুভেন্দু অধিকারীও খুব ভালো মত জানেন যে, এবার লড়াইটা একেবারে চোখে চোখ রেখে করা দরকার। আর সেই কারণেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে প্রতিনিয়ত জনসংযোগ থেকে শুরু করে শাসকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকতে দেখা যাচ্ছে তাকে। গতকাল অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লি থেকে বৈঠক করে ফেরার পরেই যেন আরও বেশি করে উজ্জীবিত হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। স্বাভাবিকভাবেই সকালে সাংবাদিক বৈঠকের পর আবার সন্ধ্যায় বিশ্বকর্মা পুজোর সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূলের ২৬ এ বিদায় নিয়ে তিনি যে একপ্রকার নিশ্চিত, তা দৃঢ়চেতা মনোভাবের সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।