প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকটি ইস্যু ধরে ধরে রাজ্যকে কটাক্ষ করছেন। অবশ্য রাজ্যে যা হচ্ছে, সেই সমস্ত কথাই তুলে ধরেছেন তিনি। একদিকে দুর্নীতি, আর একদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি নষ্টের চেষ্টা। এই দুইয়ের ওপরেই সবথেকে বেশি জোর দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষা দিন এক আশ্চর্য জিনিস রাজ্যে লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেখানে পরীক্ষা কেন্দ্রে মহিলারা ঢুকতে গেলে অনেক সধবা মহিলাদের হাতের নোয়া পর্যন্ত খুলতে হয়েছে। যদিও বা কর্তৃপক্ষের যুক্তি, লোহা থাকার জন্যই তা খুলতে হয়েছে। তবে অনেক মহিলারাই প্রতিবাদ করে হাজার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেও শেষ পর্যন্ত নিজের হাতের নোয়া খুলতে হবে, তা মেনে নিতে পারেনি। যার ফলে তারা নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করে প্রতিবাদ জানিয়ে পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে গিয়েছেন। আর এবার সেই বিষয় নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সম্প্রতি এই রাজ্যের বুকে দেখা গিয়েছে যে, বহু বছর পর আবার এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে। মূলত, আদালতের নির্দেশেই এসএসসিকে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। তবে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার দিন অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে যে, সধবা মহিলাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করার আগে তাদের হাতের যে নোয়া রয়েছে, সেই নোয়া খুলতে বলা হচ্ছে। কেননা লোহা থাকার কারণে তা পড়ে যাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে অনেক পরীক্ষার্থীই নিজেদের সনাতনী সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে কেন তাদের হাতের নোয়া এইভাবে খুলতে হবে, তা নিয়ে প্রতিবাদ জানান। এমনকি পরীক্ষা না দিয়েই তারা চলে আসেন। তবে এই ঘটনা সামনে আসার পর গোটা রাজ্য বাসীর মধ্যেও একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল যে, সধবা মানুষদের ঐতিহ্য, তাদের অলংকার হাতের এই শাখা-পলা এবং নোয়া। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার ক্ষেত্রে সেটাই যদি খুলতে হয়, তাহলে তাদের সংস্কৃতি, তাদের সনাতনী ধর্ম তো অমান্য করা হয়। যদি এমনটাই পরীক্ষার নিয়ম হতো, তাহলে কেন আগে থেকে তা জানানো হলো না? ওই সামান্য লোহাতে এমন কি থাকবে, যার জন্য তা খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের? অনেকেই তা মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। আর এবার সেই বিষয় নিয়েই মুখ খুলে ব্রিটিশ শাসনেও এমনটা হয়নি বলেই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গ্রামীণ সেবিকাদের সেবা দান কর্মসূচিতে শামিল হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আর সেখানে সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার দিন যে ঘটনা ঘটেছে অনেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে সেই কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রে শাখা-পলা নোয়া খুলে ঢুকতে হবে? এ কোন রাজ্যে বাস করছি? কোনোদিন হয়েছে? একজন মহিলা তো পরীক্ষা উপেক্ষা করেছে। কারণ, এর রাজ্যে তো চাকরি হবে না। বলেছে, এগুলো খুলবো না। আমি সদ্য বিয়ে করেছি। এগুলো আমার সনাতনী সংস্কৃতি, ভারতীয় সংস্কৃতি, হিন্দু সংস্কৃতির প্রমাণ। কোনোদিন ব্রিটিশরাও বলার সুযোগ পায়নি যে, শাখা, পলা, নোয়া এগুলো খুলে পরীক্ষা দিতে হবে। একটা মুসলিম লিগের সরকার। একে ঝেঁটিয়ে বিদায় মহিলারাই করবে।”