প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সর্বস্তরে যে একটা পচন ধরেছে, তা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার। তবে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও যেভাবে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার এবং তাদের দলের নেতারা, তা সম্প্রতি আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে, কাকদ্বীপে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে রীতিমত ঘাড় ধাক্কা দিচ্ছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। স্বাভাবিক ভাবেই তার কি করে সাহস হয় প্রধান শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। এখনও পর্যন্ত কেন সেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো না? কেন তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিলো না প্রশাসন, তা নিয়ে বিরোধীরা সোচ্চার হচ্ছেন। আর তার মাঝেই এবার শিক্ষক সমাজের করুন পরিণতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপের প্রধান শিক্ষককে হেনস্থার ঘটনায় গোটা রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা দপ্তর? কবে তাকে গ্রেফতার করা হবে? একজন প্রধান শিক্ষককে যদি এইভাবে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে কোনো একজন তৃণমূল নেতা হেনস্থা করেন, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষক সমাজ সম্পর্কে কি বার্তা যাবে! ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা ব্যবস্থা কি আদৌ সুনিশ্চিত করতে পারবে এই তৃণমূল সরকার? যেভাবে শিক্ষায় নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে, তা বন্ধ হবে কবে? এই সমস্ত প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। আর তার মাঝেই অধীর চৌধুরী আরও বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন।
এদিন কাকদ্বীপের ঘটনা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “স্কুলের মধ্যে একজন শিক্ষক যদি এইভাবে হেনস্থা হয়, এইভাবে মারধর খায়, তাহলে সেই শিক্ষককে কে মানবে আর? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে শিক্ষায় এই নৈরাজ্য শুধু শিক্ষক কুলকেই নয়, ভবিষ্যত প্রজন্মকেও বিপদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। তাই পশ্চিমবঙ্গে যদি মুখ্যমন্ত্রী বলে কেউ থাকে, তিনি যদি মনে করেন তিনি মা মাটি মানুষের সরকারের নেত্রী, তাহলে তৃণমূলের সেই মস্তানকে এই ভাবেই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। নাহলে জানব, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, আপনি শিক্ষককুলের শত্রু, আপনি বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের শত্রু।”